জোতদারদের দিয়ে ধান লুটের কেন্দ্রীয় ষড়যন্ত্র, আশঙ্কায় মমতা
কৃষি আইনের (Farm Law) বিরোধিতায় উত্তাল দিল্লি। দেশজুড়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত। তা সামাল দিতে নাজেহাল মোদি সরকার। এদিকে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার ব্যাপারে নাম না করে নরেন্দ্র মোদি বারাণসী থেকে বাংলাকে বিঁধেছেন। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে এই দু’য়ের জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর সাফ কথা, অনৈতিকভাবে, অসাংবিধানিকভাবে কৃষকদের উপর বুলডোজার চালাচ্ছে কেন্দ্র। আগামী দিনে জোতদারদের দিয়ে ধান লুট করাবে কেন্দ্র, আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রীর। কৃষক তো বটেই, সাধারণ মানুষকেও বাঁচতে দেবে না দিল্লির সরকার, মনে করছেন তিনি।
কৃষকদের অ্যাকাউন্টে যে ভর্তুকি কেন্দ্রীয় সরকার দেয়, তা এরাজ্যের কৃষকরা পান না। তাকে ইঙ্গিত করে সোমবার খোঁচা দেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, আমরা চাষিদের পাঁচ হাজার টাকা করে দিই। শস্যবিমার সুবিধা দিই বিনা পয়সায়। সঙ্গে থাকে হরেক আর্থিক সাহায্য। আমরা কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে বলেছি, তারা আমাদের টাকা দিলে, আমরা সেই টাকা কৃষকদের দেব। কিন্তু কেন্দ্র সেই কথা শোনেনি। কোনও কৃষকের যদি এক কাঠা জমি থাকে, তাহলেও তিনি আমাদের দেওয়া সুবিধা পান। কিন্তু কেন্দ্র সাহায্য করে শুধু জোতদারদের। দু’একর জমি থাকলে তবেই শুধু কেন্দ্রের সাহায্য পাওয়া যায়। আমরা কাউকে বঞ্চিত করি না। মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, ১০০ টাকা সাধারণ মানুষকে দিলে, তিনিই ১০০ টাকা দেন। পাঁচ লক্ষ টাকার সুবিধা দিলে, তার পুরোটাই দেয় রাজ্য। রাজ্য ৪০ শতাংশ দেবে আর বাকি টাকা কেন্দ্র দিয়ে সেটা কেন্দ্রের প্রকল্প বলে চালানো হবে, এটা চলবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।
কৃষকদের উপর যে অন্যায় কেন্দ্র করছে, তার জবাব চান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, চাষিদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে, তাঁদের উপর বুলডোজার চালানো হচ্ছে। কৃষকরা কোথায় যাবেন? আলু-পেঁয়াজের দাম যেভাবে বেড়েছে, তার দায় সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রের, দাবি মমতার। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সব হাতে নিয়েছে। ফলে আগামী দিনে মানুষ আলু পাবে না, পেঁয়াজ পাবে না, ধানও লুটে নিয়ে যাবে জোতদাররা। কেন্দ্রীয় সরকার করোনা ভ্যাকসিনের (Covid Vaccine) জোগান দিতে না পেরে কৃষকদের উপর অত্যাচার করছে
বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। বলেন, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই কেন্দ্র এক তরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৩০০ সাংসদ নিয়ে বিজেপি যা করছে, তা ৪০০ আসন নিয়ে রাজীব গান্ধীও করেননি। অটলবিহারী বাজপেয়ি হলেও এমন করতেন না, দাবি মমতার।