মিমের বিরুদ্ধে ইমামদের সংগঠন
বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্য মিলতেই সংখ্যালঘু প্রভাবিত মুর্শিদাবাদকে পাখির চোখ করেছে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমি ন(মিম)। তাঁরা ইতিমধ্যে ব্লকে ব্লকে কর্মসূচি শুরু করেছে। এ মাসের শেষে আসতে পারেন দলের সর্বভারতীয় নেতা তথা সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়াইসি। এই পরিস্থিতিতে মিমকে ঠেকাতে মাঠে নামছেন মুর্শিদাবাদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া ইমাম-মুয়াজ্জিন অ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন’। ইতিমধ্যে এবিষয়ে তাঁরা লোকজনকে বোঝাতে শুরু করেছেন। এই বার্তা কী মিমকে লক্ষ্য করে? সংগঠনের জেলা সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘‘যাঁরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তাদের থেকেই জেলার বাসিন্দাদের সাবধান থাকতে বলছি।’’ জেলার এক ইমাম বলেন, ‘‘বিজেপি যেমন সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, একইভাবে মিমও ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে ভেদাভেদের রাজনীতি করছে। তাই আমরা উভয়দল থেকে জেলাবাসীকে সাবধান থাকার কথা বলছি।’’
আব্দুর রাজ্জাকের দাবি, ‘‘আমাদের কেউ এ ভাবে প্রচার করতে বলেননি। নিজেদের তাগিদে, মানুষ যাতে শান্তিতে বসবাস করে, সে জন্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রচারে নামছি। ইতিমধ্যে সচেতন করার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী শনিবারের পর থেকে ব্যাপক হারে প্রচারে নামব।’’
জেলা ইমাম (IMAM) তথা ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য নিজামুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা মুর্শিদাবাদে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করি। যারা ভেদাভেদের রাজনীতি করে জেলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে তাঁদের থেকে দুরে থাকার কথা বলছি।’’ তিনি জানান, ভোটদান আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে সাম্প্রদায়িক শক্তির হাত শক্ত না করার আহ্বান জানাচ্ছি।
মিমের (MIM) জেলার নেতা আসাদুল শেখ অবশ্য ইমাম মুয়াজ্জিনদের সংগঠনের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘আমরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করি না। মানুষ তা ভাল করেই জানেন। কিছু দালাল রয়েছে, যাঁরা দিদির (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কথায় এ সব কথা বলছেন।’’ মুর্শিদাবাদকে পাখির চোখ করেছে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমি ন(মিম)। তাঁরা ইতিমধ্যে ব্লকে ব্লকে কর্মসূচি শুরু করেছে।