আরটিআই- এর আওতাধীন নয় পিএম কেয়ারস, কেন্দ্রের ব্যাখ্যায় নয়া বিতর্ক

তহবিলের টাকা অন্য খাতে ব্যয় হচ্ছে বা তহবিলে বিপুল অর্থ তছরুপের অভিযোগ তুলেছিল বেশ কিছু বিরোধী দল এবং সংবাদমাধ্যম।

December 26, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর দেখভাল করে PM CARES ফান্ডের। ওই ফান্ড বা তহবিল পুরোপুরি সরকার নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু তাতে বেসরকারি উৎস থেকে অনুদান জমা হয় বলে তা আরটিআই বা তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় পড়ে না। বৃহস্পতিবার এ কথা স্পষ্ট জানাল কেন্দ্রীয় সরকার।

উল্লেখ্য, করোনা অতিমারী রোধ করতে এবং করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য অনুদান সংগ্রহ করতে তৈরি হয়েছিল PM CARES ফান্ড। এটি একটি কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত তহবিল বা সংস্থা। কিন্তু তহবিলের টাকা অন্য খাতে ব্যয় হচ্ছে বা তহবিলে বিপুল অর্থ তছরুপের অভিযোগ তুলেছিল বেশ কিছু বিরোধী দল এবং সংবাদমাধ্যম। যদিও অভিযোগের সমর্থনে কোনও প্রমাণ কেউ পেশ করতে পারেনি। তাই ওই তহবিলে কত টাকা আছে? কীভাবে তা এতদিন খরচ হচ্ছে? জনগণের অর্থের হিসেব কেন সরকার দেবে না? ইত্যাদি নানা প্রশ্ন নিয়ে একাধিকবার আরটিআই (RTI) করে জবাব চেয়েছেন দেশের নানা প্রান্তের নাগরিকরা। সম্প্রতি এরকমই একটি আরটিআই বা তথ্য জানার অধিকার আইনে প্রশ্নের উত্তর চেয়ে পাঠিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। জবাবে সরকার জানিয়েছে, ‘যেহেতু পিএম কেয়ার্সে নানা বেসরকারি উৎস থেকে অর্থ অনুদান হিসাবে আসে তাই এটি আরটিআইয়ের আওতাধীন নয়। ফলে এর তহবিল নিয়ে কোনওরকম জবাবদিহি করতেও সরকার বাধ্য নয়।’ কিন্তু এই জবাবে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারণ যেহেতু এটি সরকার পরিচালিত ও সরকারি মালিকানাধীন তহবিল তাই এটি স্পষ্টতই আরটিআইয়ের আওতাভুক্ত হওয়া উচিত। ফলে তথ্য জানার অধিকার আইনে সরকার এই তহবিলের অর্থের ব্যয়বরাদ্দ নিয়ে জবাবদিহি করতে বাধ্য। কিন্তু দায় এড়াতে সরকার যে ব্যাখ্যা দিচ্ছে তাও সংবিধানসম্মত বা বৈধ বলে গণ্য হচ্ছে না।

অর্থাৎ বিদেশ থেকে বহু ব্যক্তি, সংস্থা নামে বেনামে এই তহবিলে বিপুল অর্থ অনুদান দেয়। অজস্র বেসরকারি সংস্থা এতে অর্থ অনুদান দেয়। তাই এটি আরটিআইয়ের আওতাধীন নয় বলে সরকার যে দাবি করছে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। বিভ্রান্তির আর একটি বড় কারণ হল, গত ২৭ মার্চ ফান্ডের নথিভুক্তকরণের সময় অছি পরিষদ স্পষ্ট জানিয়েছিল, ‘এই পিএম কেয়ার্স ফান্ড কোনওভাবেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বা সরকারের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। এটি পুরোপুরি বেসরকারি।’ অথচ ২৪ ডিসেম্বর সরকার নিজেই জানিয়েছে, এটি সরকারি ফান্ড। কিন্তু বেসরকারি অর্থ জমা পড়ে বলে এটি আরটিআইয়ের আওতাভুক্ত নয়। ফলে কোন ব্যাখ্যাটি ঠিক তা নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen