কেন্দ্রীয় বাজেটে অবহেলিত ক্ষুদ্র চা চাষীরা, বাড়ছে ক্ষোভ
উত্তরবঙ্গের চা শিল্পের(Tea Industry) মূল কান্ডারী এখন তাঁরাই। এখানকার মোট উৎপাদনের শতকরা ৬৫ ভাগই ক্ষুদ্র চা চাষীদের বাগানের কাঁচাপাতা থেকে আসে। গোটা দেশের নিরিখে যা প্রায় ৫০ শতাংশ। কর্ম সংস্থান থেকে শুরু করে, সামাজিক স্থিতাবস্থা দুই ক্ষেত্রেই তাঁরাই এই মুহুর্তে উত্তর দিনাজপুর(North Dinajpur), দার্জিলিং(Darjeeling), কালিম্পং(Kalimpong), জলপাইগুড়ি(Jalpaiguri) ও আলিপুরদুয়ারের(Alipurduar) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। এমনকী কোচবিহারেও ধীরে ধীরে ক্ষুদ্র চা চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে। কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের(Tea Growers Association) যদিও অভিযোগ কেন্দ্র বা রাজ্যের বাজেটে তাদের কথা ভাবা হচ্ছে না।
উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র চা চাষীরা ঠিক কি চাইছেন? সংগঠনগুলির বক্তব্য, প্রথাগত চাষীদের মতো ক্ষুদ্র চা চাষীরা এখনো প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনার আওতায় নেই। কিষান ক্রেডিট কার্ডের সুফলও মেলে না। প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মাননিধি যোজনাতেও কেন্দ্রীয় সরকার তাদের কথা ভাবেনি।
এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম, এই দুই রাজ্যের চা বাগানের মহিলা ও শিশুকল্যাণে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব থাকলেও সেখানে আলাদা করে ক্ষুদ্র চা চাষীদের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।