বিজেপি আগুন লাগিয়ে চলে যাবে, ৩৬৫ দিন পাহারাদার আমি: কুলপিতে মমতা
উত্তরবঙ্গের ঝটিকা সফরের পর আজ দক্ষিণবঙ্গে প্রচারের ঝড় তুলতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়া, হুগলী এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একাধিক কর্মসসূহ আজ তাঁর। রায়দিঘি, কুলপি, ক্যানিং পশ্চিম এবং তারকেশ্বর বিধানসভায় জনসভার পাশাপাশি, আজ হাওড়ায় রোড শো করবেন তৃণমূল নেত্রী। উজ্জীবিত কর্মীরাও।
লাইভ আপডেট
১২:৪৫: দেবো না, দেবো না, বিজেপিকে একটা ভোট দেবো না। বাংলা মা- কে রক্ষা করতে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবো। এটাই আপনাদের শপথ হোক। জয় হিন্দ, জয় বাংলা।
১২:৪৩: মোদী বড় মিথ্যাবাদী। অমিত শাহ এর বড় হ্যাঁ। শুধু দাঙ্গা করবে। আমি সব সম্প্রদায়ের তরফে প্রার্থনা করে যাই। ওরা একদিন আসবে, আগুন জ্বালাবে, ভোট নেবে, পালিয়ে যাবে। কিন্তু আপনারা ৩৬৫ দিন আমাকে পাহারাদার পাবেন।
১২:৪২: আগে দে গ্যাস, তারপরে দিস ক্যাশ। হাজার টাকা যদি গ্যাসের দাম হয়, মানুষ খাবে কি? সেই জন্যেই তো, খেলতে হবে, জিততে হবে, বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাংলা থেকে বের করে দিতে হবে।
১২:৪০: দিল্লির ইঞ্জিন জিরো হয়ে গেছে, ওরা নাকি বাংলা চালাবে। এখনো কৃষকরা সিঙঘুতে বসে আছে। কয়েকদিন পর ব্যাংকের টাকা পাবেন না। বীমা বেসরকারি করে দিয়েছে। সব বিক্রি করে দিয়েছে। হঠাৎ একদিন বলবে, নোট নোট বন্দির মত, ব্যাংক বন্ধ, তোমার টাকা তুমি পাবে না। ভোটের সময় টাকা দিয়ে আপনার মাথা খারাপ করে দেবে।
১২:৩৯: ৫ লক্ষ ছেলে-মেয়ের কর্মসংস্থান হবে। দেড় কোটি ক্ষুদ্র শিল্প করে দেব। চোর চিটিংবাজ, দাঙ্গাবাজ, ধর্ষণকারীদের দলকে ভোট দেবেন না। নির্বাচনের আগে আমার পা চোট করে দিয়েছে। অনেকবার আমায় মেরেছে। কিন্তু আমি তো মা বোনেদের পা দিয়ে যাব। ওদের সব প্রার্থী ধার করা।
১২:৩৭: সব কাজ দিদি করছে। বিজেপিকে ভোট দেবে কেন? আগামীদিনে আমাদের সরকার জিতলে বিনা পয়সায় রেশন দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দেব। বিজেপি আসলে সব প্রকল্প উঠিয়ে দেবে। মা-বোনেদের হাত খরচা দিব ৫০০ থেকে হাজার টাকা। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার চিন্তা মা-বাবাকে করতে হবে না। ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড করে দেবো। এর জন্য জামিনদারি লাগবেনা। কৃষক বন্ধুর টাকা ৬ হাজার টাকা থেকে দশ হাজার টাকা হবে।
১২:৩৫: ওদের টাকা নিও না। পাপ হবে। ওদের বিশ্বাস করোনা। টাকা নিয়ে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার চেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিত। এত অধঃপতন আমাদের কেন হবে? বাংলার মানুষ মাথা নষ্ট করেনা। মাথা উঁচু করে চলে। আমরা রবীন্দ্র-নজরুলের দেশের লোক। আমরা ওদের পছন্দ করিনা। ওরা এলে বাংলাকে শেষ করে দেবে। এটা মাথায় রাখবেন।
১২:৩৪: উত্তরপ্রদেশে মেয়েকে ধর্ষণ করে জ্বালিয়ে দিয়েছে। তার বাবাকেও খুন করে দিয়েছে। সমে এনআরসির নাম করে বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দিয়েছে। দিল্লিতে মানুষ খুন করেছে। আমার মাঝে মাঝে ঘৃনা হয়। এ কোন দেশে আমরা আছি। যাদের হাত রক্তরাঙা, তাদের মিটিং আমি শুনতে যাব? এ আমি কোন বাংলাকে দেখছি?
১২:৩৩: এরা মানেনা দেবতা। আমরাও দুর্গাও মানি, কালীও মানি। ওরা বলে কি মা দুর্গা? আমরা বলি, তুমি কে হে? আমরা সব ভগবানের পুজো করি। সব ধর্মের মানুষ নিজেদের ধর্ম পালন করেন।
১২:৩২: ওরা হিন্দু নয়, মুসলমান নয়। ওরা বিজেপির গুন্ডা। বজ্জাতের দল। ওদের দূরে সরিয়ে রাখুন। আমরা বলি হরে কৃষ্ণ হরি হরি, আসুন মানুষের ভালো করি। বিজেপি বলে, হরে কৃষ্ণ হরি হরি, এলাকায় এলাকায় দাঙ্গা করি। হরে কৃষ্ণ হরি হরি, লুঠ করি, ডাকাতি করি।
১২:৩০: বাইরের গুন্ডা গুলো বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছে হিন্দু-মুসলমান আলাদা হয়ে যান। বাংলার সংস্কৃতি হলো হিন্দু মুসলমান একসাথে চা খান, উৎসব পালন করেন। নন্দীগ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়েছে।
১২:২৯: বিজেপি থেকে সাবধান, ওদের হাতে আছে স্টেনগান। ওদের দেবেন না ভোট জনগণ। দাঙ্গাবাজ গুন্ডা। সাত বছর ক্ষমতায় আছো। সিঙ্গেল ইঞ্জিন কোথায় গেল? ১৫ লক্ষ টাকা কোথায় গেল? উজ্জ্বলা গ্যাস এর কি হল? চোর-ডাকাত গুন্ডা গুলো বিহার, ইউপি থেকে এসেছে। সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করতে হায়দ্রাবাদ থেকে এসেছে একটা দল। ভোট ভাগ হলে বিজেপির মজা হবে। আর যে এসেছে ভাগ করতে, তাতো টাকায় টাকায় বাড়ি উঠবে। এইভাবে বিহারে হারিয়েছে। ইউপিতে হারিয়েছে। বাংলায় এসব হবে না।
১২:২৭: বলে কিনা ডবল ইঞ্জিন সরকার বানাবে। গ্যাসের দাম কত হলো? বিনা পয়সার চাল ৯০০টাকার গ্যাস দিয়ে ফোটাতে হবে। টাকা দিলে নেবেন না, বলবেন ক্যাশ না গ্যাস দিন। কেরোসিন পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যাংকের সুদ কমিয়ে দিয়েছিল, যেই মনে হয়েছে নির্বাচন আছে, নির্দেশিকা ফেরত নিয়ে নিয়েছে। জ্বালানীর দাম বেড়েছে, মানুষের জীবনের দাম কমেছে।
১২:২৬: ফনি থেকে আম্পান-সব থেকে আমরা আপনাদের বাঁচিয়েছি। আয়লার সময় সরকার আপনাদের সাহায্য করেনি। আমি কিন্তু রেলমন্ত্রী হিসেবে ছুটে এসেছি। লক্ষীকান্তপুর, নামখানা ট্রেন কে করে দিয়েছে? বিজেপি কিন্তু করেনি। ওদের মতো বজ্জাত, গুন্ডা, দস্যু, জঘন্য পার্টি কোথাও নেই।
১২:২৫: এত বড় আম্পান ঝড় হলো। কয়েক লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হলো। আমরা কুড়ি লক্ষ মানুষকে ঘর তৈরি করে দিয়েছি। বিদ্যুতের খুঁটি ঠিক করে দিয়েছি। কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। যারা পাননি, তারাও পেয়ে যাবেন। চিন্তা করার কারণ নেই। সেদিন আমি যদি নবান্নে বসে না সামলাতাম, কি অবস্থা হতো বলুনতো মা-বোনেরা?
১২:২৪: দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূলের জন্মদাত্রী মা। আপনারা আমাদের ভোট না দিলে আমরা কোথা থেকে জিতবো? আপনার ভোট তৃণমূলকে দেবেন কারণ আমরা কন্যাশ্রী করে দিয়েছি, সংখ্যালঘু, তপশিলি, আদিবাসী, ছাত্র-যুবদের, মৎস্যজীবীদের ভবিষ্যৎ গড়ে দিয়েছি।
১২:২৩: এটা দিল্লির নয়, বাংলার নির্বাচন। বাংলায় কারা সরকার গড়বে? বাংলা কি বাংলায় থাকবে নাকি বাইরের গুন্ডাদের হাতে চলে যাবে, এই নির্বাচন সেই রায় দেবে। আপনাদের একটা ভোট সেটা ঠিক করবে। আমাকে যদি আপনাদের পছন্দ হয়, তাহলে দয়া করে এখানকার প্রার্থীকে ভোট দেবেন।
১২:২২: গঙ্গাসাগর মেলায় প্রতিবছর যে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন, আপনারা আতিথেয়তা না দিলে তা কোনওদিন সম্পন্ন হতে পারে না। আপনাদের আমি প্রণাম, সালাম জানাই। আমি একটা পায়েই প্রচার করে বেড়াচ্ছি। মা-বোনেদের দুটো পা-ই আমাকে সাহস যোগাচ্ছে।
১২: ২০: আমি চিরকাল সাগরের দিকে আসছি। সাগর, ময়না নদীমাতৃকা। এটা আমাদের বাংলার প্রাণ। গঙ্গাসাগরকে বাদ দিয়ে, কুলপি, কাকদ্বীপ, ক্যানিং, মথুরাপুরকে বাদ দিয়ে আমাদের দেশ হয়না। গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে আমি প্রতিবছর এখানে আসছি।