নরেন্দ্র মোদীরা নারী বিদ্বেষী, বিজেপিকে অভূতপূর্ব আক্রমণ তৃণমূলের
আমরা কখনোই চাইব না পশিমবঙ্গ গুজরাট হয়ে যাক’।

তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে মোদীকে নারী বিদ্বেষী বলে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যের শিশু ও নারী কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদকে সম্মান করি। কিন্তু ওনাদের ব্যবহারে সেই পদে বসে থাকা মানুষকে আমরা সম্মান করতে পারছি না। কারণ তাঁরা নিজেরাই সেই সম্মান রাখছেন না’। তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে জনসভায় টোন টিটকিরি করে কথা বলছেন। আমাদের বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা আছে। এর বিচার হবেই’।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শশী পাঁজার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, মেদিনীপুরের প্রার্থী জুন মালিয়া এবং বিশিষ্ট পরিচালক অনন্যা চক্রবর্তী। জুন মালিয়া এ বিষয়ে বলেন, ‘শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নয়, বাংলার প্রতিটি মহিলাকে অপমান করা হচ্ছে। দিদির হাত ধরেই ১০ বছরে নারী শক্তির উত্থান হয়েছে। সমগ্র নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে’। তিনি আরো বলেন, ‘এই দেশে এর আগে কখনো কোন প্রধানমন্ত্রী এইভাবে কথা বলেন নি। দেশের প্রধান যদি এই ভাষায় কথা বলেন? তাহলে দেশের যুবকরা কিভাবে মহিলাদের সম্মান করতে শিখবে? ওনারা কি করে রাজ্যের নির্বাচিত মহিলা প্রধান সম্পর্কে এই ভাষায় কথা বলেন!’
অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, ‘ধর্ম সেটাই যেটা আমরা ধারণ করে চলি। অর্থাৎ আমাদের মূল্যবোধ। এরা ধর্ম নিয়ে এত কথা বলছে, এদের মূল্যবোধ কোথায়? এরা পিতৃতান্ত্রিক সমাজ তৈরির চেষ্টা করছে। যেখানে চাইলেই মেয়েদের অপমান করা যায়। তিনি এতেই অভ্যস্ত। যেভাবে নিজের স্ত্রী, বৈবাহিক জীবনকে অপমান করেছেন। স্বীকৃতি দেন নি’।
তিনি বলেন, ‘এই যে ওরা বাংলাকে গুজরাট বানানোর কথা বলছে, গুজরাটের বিধানসভা ভোটে রাজ্যের দেওয়া পরিসংখ্যান দেখলে শিউরে উঠবেন। ভাবতে হবে, মেয়েরা আদেও কতোটা সুরক্ষিত সেখানে!’
গুজরাটের নারী সুরক্ষার খতিয়ান তুলে ধরে অনন্যা দেবী বলেন, ‘গুজরাটে প্রতিদিন গড়ে দুটি করে খুন এবং চারটি করে ধর্ষন হয়েছে। দৈনিক গড়ে ছটি করে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। গত দুবছরে গুজরাটে ১৯৪৪ টি খুন ও ৩০৯৫ টি ধর্ষন, ৪৮২৯ টি অপহরণ এবং ১০০০- এরও বেশি খুনের চেষ্টা হয়েছে। ধর্ষনের শীর্ষে রয়েছে আমেদাবাদ। সেখানে ২ বছরে ৪৬০ টি ধর্ষনের ঘটনা লিপিবদ্ধ হয়েছে। আমরা শঙ্কিত। আমরা কখনোই চাইব না পশিমবঙ্গ গুজরাট হয়ে যাক’।