মন্দির খোলা থাকলেও জল্পেশে অনিশ্চিত শ্রাবণী মেলা

প্রতিবছর গুরুপূর্ণিমার দিন থেকে জল্পেশে শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে শিবের মাথায় জল ঢালতে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে।

July 16, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

শ্রাবণ মাস উপলক্ষে আগামী রবিবার থেকে উত্তরবঙ্গের প্রসিদ্ধ শৈবতীর্থ জল্পেশে (Jalpesh) ভক্তরা আসবেন শিবের মাথায় জল ঢালতে। কিন্তু গতবারের মতো এবারও বাধ সেধেছে করোনা। তাই  অনিশ্চয়তায় শ্রাবণী মেলা। ভক্তদের জন্য মন্দিরে প্রবেশের পথ খোলা থাকলেও অবারিত দ্বার হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভক্তদের মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতে হবে। তবে গৌরীপীঠ স্পর্শ করতে পারবেন না ভক্তরা। দূর থেকে জল ঢেলে চলে যেতে হবে। এর জন্য দু’রকম দামে টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্দিরের (Mandir) চতুর্দিকে সিসিটিভি’র মাধ্যমে চলবে নজরদারি। ভিড় এড়াতে মন্দির কমিটির নিজস্ব ভলান্টিয়াররা নজরদারি  চালাবেন। 

প্রতিবছর গুরুপূর্ণিমার দিন থেকে জল্পেশে শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে শিবের মাথায় জল ঢালতে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে। উত্তরবঙ্গ সহ অসম, নেপাল, ভুটান থেকে লক্ষাধিক ভক্ত জল্পেশে পুজো দিতে আসেন। শ্রাবণ মাসের প্রতি রবিবার রাতে ভক্তরা জল্পেশে আসেন। রাত জেগে সোমবার জল ঢেলে ভক্তরা বাড়ি ফিরে যান। ‘বোল-বোম’ ধ্বনিতে ভরে যায় ময়নাগুড়ি সদর সহ জল্পেশ সংলগ্ন এলাকা। তিস্তা নদীর ঘাট তৈরি করা হয় ভক্তদের জন্য। এই ঘাটের জন্য পঞ্চায়েত সমিতি থেকে টেন্ডার করা হয়। সেখান থেকে জল নিয়ে ভক্তরা হেঁটে মন্দিরে আসেন। কিন্তু এসব কিছুই থাকছে না এবার। 

করোনার কারণে গত বছরেও শ্রবণী মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। যার জন্য বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল মন্দির কমিটিকে। তাদের কর্মীদের বেতন দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। চলতি বছরেও করোনার কারণে অনিশ্চয়তার পথে শ্রাবণী মেলা (Srabani Mela)। এদিকে, মেলা না হলেও মন্দির খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে মন্দির কমিটি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে। ১০ জনের বেশি ভক্তদের একসঙ্গে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ২০ টাকা ও ১০০ টাকার টিকিট থাকছে এবারেও। ভক্তদের মাস্ক পরে মন্দিরের ভিতরে যেতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধিও মানতে হবে। মন্দিরে প্রবেশ করলেও দূর থেকে জল ঢেলে মন্দির থেকে বেরিয়ে পরতে হবে। 

জল্পেশ মন্দির কমিটির সম্পাদক গীরেন্দ্রনাথ দেব বলেন, সরকারি আইন সকলকে মানতে হবে। এবছরেও সম্ভবত মেলা হবে না। করোনার প্রকোপে আমরা বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি। শ্রাবণী মেলার অর্থে আমাদের মন্দিরের কর্মীদের বেতন দিতে হয়। এক বিরাট সমস্যার মধ্যে দাঁড়িয়ে আমরা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্দির খোলা থাকছে। মন্দির চত্বরে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোথাও ভিড় করা যাবে না। ১০ জন করে ভক্তরা মাস্ক পরে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবে। আমাদের একটি টিম নজরদারি চালাবে। এছাড়াও সিসিটিভিতে ও আমাদের নজরদারি চালানো হবে। ১০০ টাকার টিকিটে ভক্তদের লাইনে দাঁড়াতে হবে না। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen