বিজেপি বিধায়কের উপস্থিতিতেই জাতীয় সংগীতের অবমাননার অভিযোগ
ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে একে একে খেলোয়াড়দের সঙ্গে করমর্দন করছিলেন কুলটির বিজেপি বিধায়ক ডঃ অজয় পোদ্দার। আচমকাই বেজে উঠল জাতীয় সংগীত। আর মাঝপথেই সেই জাতীয় সংগীত থামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। কুলটির বিজেপি বিধায়ক ডঃঅজয় পোদ্দারের উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীতের অবমানতা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এর জেরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, কুলটির বিজেপি বিধায়ক মাঠে গিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে করমর্দন করছিলেন। সেই সময় আচমকা জাতীয় সংগীত বাজিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই তিনি করমর্দন থামিয়ে দেন। এদিকে তাঁর কাছেই থাকা রেফারি তখন বাঁশি বাজিয়ে জাতীয় সংগীত থামানোর অনুরোধ করেন।
এরপর জাতীয় সংগীত বাজানো থামিয়ে দেওয়া হয়। পরে ফের ফুটবলারদের সঙ্গে করমর্দন শুরু করেন বিজেপি বিধায়ক। এদিকে গোটা ঘটনায় বিজেপিকে তীব্রভাবে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যুব তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ ,’যারা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে তারা আবার জাতীয় সংগীতের মর্যাদা বোঝে নাকি। ওরা ডিজের মর্যাদা বোঝে। বিধায়ক নিজে হাত নেড়ে জাতীয় সংগীত বন্ধ করতে বলেছেন। বিজেপি কিছুই বোঝে না। আমরা তীব্র নিন্দা করছি।’
অন্য়দিকে গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি বিধায়কের দাবি, ‘আমি জাতীয় সংগীত বন্ধ করার নির্দেশ দিইনি। যিনি অপারেটর ছিলেন তিনি ভুল করে স্টার্ট করে দিয়েছিলেন। এটা আয়োজকদের ভুল। এটা আয়োজকদের সমস্যা। পরে আমরা সারিবদ্ধভাবে জাতীয় সংগীতে অংশ নিয়েছি।’ তবে ব্লক যুব কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি,’জাতীয় সংগীতের সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছি। বিজেপি বিধায়ক জাতীয় সংগীত হওয়াকালীন করমর্দন করছেন। এটা বিজেপির সংস্কৃতি।