রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

রেকর্ড গড়ে ২ দিনে বাংলার গ্রামাঞ্চলে ১২ লক্ষ মানুষ পেলেন টিকা

September 3, 2021 | 2 min read

শহরাঞ্চলে ১৮ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই ইতিমধ্যে করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। এই প্রথম ডোজ প্রাপকদের মধ্যে ৪০ শতাংশকে টিকার দ্বিতীয় ডোজও দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এবার তাই মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের টিকাকরণ পরিকল্পনায় ‘পাখির চোখ’ হতে চলেছে গ্রামাঞ্চল। এতদিন পর্যন্ত প্রায় সমান সমান ভাগ করে শহরাঞ্চল ও গ্রামে টিকা দেওয়া হত। চলতি মাসের শুরু থেকে গ্রামাঞ্চলে অনেক বেশি টিকাকরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কারণ ১৮-ঊর্ধ্ব জনসংখ্যার মাত্র ৩৫ শতাংশ থাকে রাজ্যের শহরগুলিতে। বাকি ৬৫ শতাংশই থাকে গ্রামাঞ্চলে। ফলে এতদিন সমান সমান ভাগ করে গ্রাম ও শহরে টিকা দেওয়া হলেও গ্রামাঞ্চলেই বেশিরভাগ মানুষ টিকাকরণের আওতার বাইরে রয়েছেন। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সারা রাজ্যে প্রায় ৪২ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। দু’টি ডোজই পেয়েছেন প্রায় ২০ শতাংশ নাগরিক। সব মিলিয়ে আগামী ২০-২২ দিনের মধ্যে রাজ্যের ১৮-ঊর্ধ্ব নাগরিকদের ৫০ শতাংশ করোনা টিকার একটি করে ডোজ পেয়ে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। সম্প্রতি স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। 


গত মাসের শেষ দিন থেকেই গ্রামাঞ্চলে টিকাকরণে গতি আনতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। পরিসংখ্যান থেকে সরকারের এই পরিকল্পনা  স্পষ্ট হয়েছে। জানা গিয়েছে, ৩১ আগস্ট রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে মোট ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮৮৮ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। ওই দিন শহরগুলিতে ৩ লক্ষ ১৬ হাজার ৭৬৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়। ১ সেপ্টেন্বর অবশ্য গ্রামীণ এলাকায় ২ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৮৭ জন এবং শহরাঞ্চলে ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪৪৮ জনকে টিকা দেওয়া হয়। অর্থাৎ পরপর দু’দিনে গ্রামাঞ্চলে ১২ লক্ষেরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। 


টিকাকরণ পর্বের শুরু থেকে বেশ কয়েকমাস রাজ্যে টিকার জোগান নিয়ে  সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। চাহিদার তুলনায় অনেক কম টিকা কেন্দ্র রাজ্যকে সরবরাহ করায় নানা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে এই সমস্যার কথা  তুলে ধরেন। এখন তারই সুফল মিলছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। কারণ, গত মাস থেকে রাজ্যের চাহিদার চেয়েও বেশি টিকা সরবরাহ করছে তারা। আগস্টে এক কোটি চার লক্ষ ডোজ দেওয়া হয় রাজ্যকে। সেই জায়গায় রাজ্যের চাহিদা ছিল ৭৩ লক্ষ। স্বাস্থ্যদপ্তরের হেলথ ডাইরেক্টরেটের টিকাকরণের শীর্ষকর্তা অসীম দাস মালাকার জানান, চলতি মাসে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্র মিলিয়ে মোট দেড় কোটি ডোজ আমাদের চাহিদা। আশা করছি, সবটাই পাওয়া যাবে। এর বেশিরভাগটাই দেওয়া হবে গ্রামাঞ্চলে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী ২০-২২ দিনের মধ্যে রাজ্যের ১৮-ঊর্ধ্ব অর্দ্ধেক নাগরিককেই আমরা করোনা টিকার অন্তত একটি ডোজ দিয়ে দিতে পারব।  কালীঘাটের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা নেওয়ার ভিড়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Villages, #vaccine, #Bengal, #covid-19

আরো দেখুন