শুভেন্দুর ‘রক্ষাকবচ’কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য
শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ‘রক্ষাকবচ’কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য। সোমবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তিনটি মামলার তদন্তে স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করল রাজ্য। ইতিমধ্যে আদালতে মামলাটির উল্লেখ করা হয়েছে। আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার মামলাটির শুনানি হতে পারে।
রাজ্যের বিভিন্ন থানায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে। মামলাগুলি হয় খারিজ করা হোক নয়তো সিবিআইকে তদন্তের ভার দেওয়া হোক, এই আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সোমবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা-র এজলাসে শুনানি হয়। শুনানির পর আদালত জানিয়ে দেয়, কোনও মামলাতেই শুভেন্দু অধিকারীকে এখন গ্রেপ্তার করা যাবে না। আদালতের নির্দেশ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপও করা যাবে না। ভবিষ্যতে যদি বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের হয়, সেই মামলার প্রেক্ষিতে কড়া পদক্ষেপ করতেও হাই কোর্টের (Calcutta High Court) অনুমতি লাগবে বলে জানিয়েছে আদালত।
এমনকী, পাঁচটির মধ্যে তিনটি মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া বন্ধের নির্দেশ দেয় আদালত। এর মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর রহস্যজনক মৃত্যু মামলাও রয়েছে। রয়েছে নন্দীগ্রাম, পাঁশকুড়া থানার মামলাও। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করল রাজ্য। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার উল্লেখ করে রাজ্য। ডিভিশন বেঞ্চ মামলা করার অনুমতি দিয়েছে। আজকের মধ্যে মামলা ফাইল হলে বুধবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে। একটি মামলা দায়ের হয়েছে নন্দীগ্রাম থানায়। অতিমারী আইন ভেঙে পুলিশ সুপারকে হুমকি দেওয়ায় তমলুক থানায় মামলা হয়েছে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে সোনার গয়না ছিনতাইয়ের অভিযোগ ছিল। সেই তদন্তে শুভেন্দুর নাম জড়ায়। পাঁশকুড়া থানায় এ নিয়ে মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে শুভেন্দুর দেহরক্ষীর মৃত্যু মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে কাঁথি থানায়। এদিকে চাকরির নামে প্রতারণার মামলা রয়েছে মানিকতলা থানাতে। এই পাঁচ মামলাতেই আদালতের রায়ে আপাতত স্বস্তি পেয়েছেন তিনি।