নিখিল উভকামী বলেই ভেঙেছে বিয়ে! সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
গত কয়েকমাস ধরে নুসরত জাহান ও বিতর্ক যেন সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নায়িকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চার শেষ নেই। নিখিল জৈনের সঙ্গে তাঁর ভাঙা ‘বিয়ে’, যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে সহবাস এবং ঈশানের মা হওয়ার- সবকিছু নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কাজের সূত্রেই আলাপ নিখিল-নুসরতের। নিখিলের বস্ত্র বিপণির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার ছিলেন নুসরত। সেখান থেকেই প্রেম ও ‘বিয়ে’। কিন্তু কী এমন হল যে এক বছর যেতে না যেতেই ভেঙে গেল সেই সম্পর্ক?
লোকসভা নির্বাচনের আবহেই নিখিল জৈনের সঙ্গে নিজের সম্পর্কে শিলমোহর দিয়েছিলেন নুসরত। দিন কয়েকের মধ্যেই সদ্য নির্বাচিত সাংসদ সুদূর তুরস্কের বোদরুমে গিয়ে বিয়ের পর্ব সারেন নিখিল জৈনের সঙ্গে। তারিখটা ছিল ১৯শে জুন। সেই রূপকথার বিয়ের ছবি সকলেই দেখে মুগ্ধ হয়েছিল। কিন্তু কেন মাসকয়েকের মধ্যে ভাঙল সেই সম্পর্ক? এই নিয়ে চাঞ্চল্যকর গুঞ্জন উঠে আসছে। ‘বিয়ে’র পরই নাকি নুসরত দেখতে পান নিখিলের অন্য রূপ। নুসরতের ‘চাহিদা’ পূরণে ব্যর্থ ছিলেন নিখিল। নুসরতের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, নিখিল নাকি উভকামী, এই বিষয়টা জানতে পেয়ে চরম মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন নুসরত। নিখিলের অনেক সঙ্গীই নাকি নুসরতেরও বন্ধু। তবে এই নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করতে নিখিল জবাব দেননি নুসরতকে। সেই নিয়ে শুরু দুজনের মধ্যেকার ঝামেলা।
বিয়ের মাস কয়েক পর, ২০১৯ সালের নভেম্বরে নুসরতের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর চাউর হয়েছিল। নিখিলের জন্মদিনের ঠিক পরেই ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন নুসরত, এই খবর রটেছিল টলিপাড়ায়। শোনা যাচ্ছে, নিখিলের জন্মদিনের রাতে নুসরত নিখিল ও তাঁর এক বন্ধুকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন। নিখিলের ওই বিবাহিত বন্ধুর স্ত্রীও নাকি দুজনের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, এবং শেষমেষ তাঁদের ডিভোর্স হয়। এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে নিখিল জৈন জানিয়েছেন, ‘এইসব ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের ভ্রান্ত ধারণা। একদম মিথ্যে কথা। আমি পুরোপুরি স্ট্রেট। টলিউডে অনেক লোকই নিজেদের মতো করে স্ট্রোরি বানিয়ে দেয়। লাইমটলাইটে থাকতে,মিথ্য গসিপ করা হয়। আমার নামে মিথ্যে বলছে’।
তবে নুসরতের ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, ওই বন্ধুর পাশাপাশি একাধিক রূপান্তরকামীদের সঙ্গে নিখিলের সম্পর্কের কথা নুসরত জানতে পেরেছিলেন। তবে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। অভিযোগের শেষ এখানেই নয়। নিখিল নাকি নেশাগ্রস্ত থাকতেন, প্রায়সময়ই মাঝরাতে বাড়ি ফিরতেন, এবং বাথরুমে ঘুমিয়ে পড়তেন। পরদিন এইসব কিছু দিনের পর দিন সহ্য করতে না পেরেই ‘বিয়ে’ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন নুসরত। এমনকি নুসরতের আর্থিক বিষয়টাও পুরোটাই ‘কন্ট্রোলে’ রাখতেন নিখিল।
গত বছর সেপ্টেম্বরেই নাকি নিখিলের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন নুসরত। সেইসময় থেকে নায়িকা নিজের পাম এভিনিউয়ের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। এরপর এক ছবির (স্বস্তিক সংকেত) শ্যুটিংয়ে লন্ডনে উড়ে যান। সেখান থেকে ফিরে বার কয়েক তিনি নিখিলের আলিপুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন ঠিকই, তবে নেহাত স্বামীর অনুরোধে। সেইবছর দীপাবলিতে নুসরত-নিখিলের ছবিও ভাইরাল হয়েছিল। অন্যদিকে প্রকাশ্যে দুজনকে শেষবার একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল সেই বছর দুর্গাপুজোর অষ্টমীতে। সুরুচি সংঘের পুজোয় যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা।
বিয়ের মাস কয়েক পর, ২০১৯ সালের নভেম্বরে নুসরতের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর চাউর হয়েছিল। নিখিলের জন্মদিনের ঠিক পরেই ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন নুসরত, এই খবর রটেছিল টলিপাড়ায়। শোনা যাচ্ছে, নিখিলের জন্মদিনের রাতে নুসরত নিখিল ও তাঁর এক বন্ধুকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন। নিখিলের ওই বিবাহিত বন্ধুর স্ত্রীও নাকি দুজনের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, এবং শেষমেষ তাঁদের ডিভোর্স হয়। এক সাক্ষাত্কারে নিখিল জৈন জানিয়েছেন, ‘এইসব ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের ভ্রান্ত ধারণা। একদম মিথ্যে কথা। আমি পুরোপুরি স্ট্রেট। টলিউডে অনেক লোকই নিজেদের মতো করে স্ট্রোরি বানিয়ে দেয়। লাইমটলাইটে থাকতে,মিথ্য গসিপ করা হয়। আমার নামে মিথ্যে বলছে’।