স্কুল খোলার বিষয়ে সবরকম প্রস্তুতি সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়ে রাখল বিকাশ ভবন
শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিকাশ ভবনের তরফে ডিআইদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ২৯ অক্টোবরের মধ্যে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের স্কুল সাফাইকরণ এবং স্যানিটাইজেশনের কাজ সেরে ফেলতে হবে। ঠিক স্কুল খোলার প্রাক্কালে ফের এক দফা সাফাইকরণ এবং স্যানিটাইজেশন করতে হবে। শুধু তাই নয়, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক কর্মশালারও আয়োজন করবেন প্রধান শিক্ষকরা।
ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে ছ’হাজার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের জন্য ১০৯ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে সরকারের তরফে। পরের পর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধকল এবং দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে অকেজো পরিকাঠামো নতুন করে গড়ে তোলা এবং মেরামতির কাজ সারতেই এই আর্থিক বরাদ্দ। যেসব স্কুল তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানায়নি, তাদেরও ২৬ অক্টোবরের মধ্যে এস্টিমেট বা সম্ভাব্য খরচের পরিমাণ জানাতে হবে। এবার প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলির কাছ থেকেও সেই এস্টিমেট এবার চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আর তা স্কুল শিক্ষা কমিশনারেটে জমা পড়তে হবে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে। অর্থাৎ, সেই স্কুলগুলির জন্যও অর্থ বরাদ্দ হবে।
শিক্ষক বদলি নিয়েও বেশ কয়েকটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, উৎসশ্রী পোর্টাল নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট ২৭ অক্টোবরের মধ্যে জমা দিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, শূন্যপদই নেই এমন স্কুলে শিক্ষকদের বদলির চিঠি দেওয়া হচ্ছে। এই সমস্যা মেটানোর জন্য ২৫ অক্টোবর, অর্থাৎ আজ, সোমবারের মধ্যে প্রধান শিক্ষকরা ডিআইদের আবেদন করবেন, আইওএসএমএস পোর্টালে পোস্ট স্যাংশনিং মেমোর (পিএসএম) লিঙ্কটি আনলক করার জন্য। তিনি সেটা করার পরে পিএসএমে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে দেবেন তিনি। ২৯ অক্টোবরের মধ্যে সংশোধিত পোস্ট পিএসএমগুলি ফের লক করে দেওয়া হবে। এর ফলে ভুল স্কুল বা পোস্টে বদলি দেওয়ার ঘটনা রোখা যাবে বলে বিকাশভবনের আশা। দু’টি জেলার সিএমওএইচকে বদলির আবেদনকারী শিক্ষকদের মেডিক্যাল সার্টিফিকেট প্রদানের বিষয়টি ২৬ অক্টোবরের মধ্যে অতি অবশ্যই ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অনেক স্কুলেই নর্মাল সেকশনের (এখন যা উচ্চ প্রাথমিক) শিক্ষকরা উচ্চ মাধ্যমিক বা এইচএস সেকশনে এবং এইচএস সেকশনের শিক্ষকরা নিচু ক্লাসে পাঠদান করতে বাধ্য হন। এটা এনসিটিই-র নিয়মের বিরোধী। তবে, শিক্ষক অপ্রতুল হওয়ার কারণে স্কুলগুলি বাধ্য হয় শিক্ষকদের দিয়ে তা করাতে। তবে, এটা নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। তাই, কোন স্কুলে এমন তা নির্দিষ্ট গুগল স্প্রেড শিটে রিপোর্ট আকারে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আদালতে তা পেশ করবে শিক্ষাদপ্তর। এর পাশাপাশি, নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সমস্ত অনাথ ছাত্রছাত্রীর টিউশন ফি যাতে বেসরকারি স্কুলগুলি মকুব করে দেয়, তা নিশ্চিত করবেন ডিআইরা। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিয়েছে। স্কুলগুলিতে অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বিলি, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের পড়ুয়াদের আধার সংযুক্তিকরণের কাজও এই সপ্তাহের মধ্যে সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৮ বছরের নীচে টিকাকরণ চালু হলে যাতে ছাত্রছাত্রীদের সেজন্য তৈরি রাখা যায়।