কার্শিয়াংয়ের রাস্তায় বসেই চায়ে চুমুক, খোশমেজাজে মুখ্যমন্ত্রী

সাড়ে দশটা নাগাদ সার্কিট হাউজ থেকে রওনা দেন তিনি। প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে চলে আসেন মহানদী ভিউ পয়েন্ট গিদ্দায়।

October 27, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

পাহাড় সফরের চতুর্থ দিনে ফুরফুরে মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালে কার্শিয়াংয়ে (Kurseong) প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে ঘোরেন তিনি। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। এমনকী, রাস্তায় বসে চায়ের পেয়ালায় চুমুক দেন তিনি। রাস্তার পাশের দোকান থেকে কেনেন জুতোও।

পাঁচদিনের সফরে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পর পর দু’দিন প্রশাসনিক বৈঠক সেরেছেন তিনি। মঙ্গলবার কার্শিয়াংয়ের সার্কিট হাউজে রাত্রিবাস করেছেন তিনি। এদিন একটু বেলা গড়াতেই হাঁটতে বেরিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। সাড়ে দশটা নাগাদ সার্কিট হাউজ থেকে রওনা দেন তিনি। প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে চলে আসেন মহানদী ভিউ পয়েন্ট গিদ্দায়।

রাস্তায় আসতে আসতে দাঁড়িয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও বলেন মমতা। দু’বছর পর তিনি কার্শিয়াংয়ে রাত্রিবাস করছেন। এই দু’বছরে পাহাড়বাসী কী পেয়েছেন, কী পাননি-তা এলাকাবাসীর জবানিতেই শুনে নেন মুখ্যমন্ত্রী। দে্খা যায়, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাচ্চাকে বেশকিছুক্ষণ ধরে আদরও করেন মমতা। এর পর সোজা চলে আসেন মহানদী পয়েন্টে। সেখানে একটি চায়ের দোকানের সামনে চেয়ার নিয়ে বসে পড়ন তিনি। চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিতে দিতে দোকানি সঙ্গে খোশ মেজাজে গল্প জুড়ে দেন। তাঁদের আড্ডায় যোগ দেন অরূপ বিশ্বাসও।

পরে তাঁদের আড্ডায় যোগ দেন ইন্দ্রনীল সেনও। পাহাড়ের ফুরফুরে আবহাওয়ায় তাঁকে গান শোনাতেও অনুরোধ করেন। গান শোনান তিনি। সবমিলিয়ে জমজমাট ছিল পাহাড়ের আড্ডা। পরে একটি দোকান থেকে দু’জোড়া জুতোও কেনেন তিনি। তাঁর মধ্যে বাচ্চার জুতোও ছিল। আর একটি ছিল নিজের জন্য চপ্পল। মুখ্যমন্ত্রীর ‘ঘরের মেয়ে’ সুলভ আচরণে স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত পাহাড়ের স্থানীয় বাসিন্দারা। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen