শিলিগুড়ি ও ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির একাংশে প্রচুর ভুয়ো ভোটারের হদিশ মিলল

ভোটার তালিকা নিয়ে বাড়ি বাড়িও যাচ্ছে। পাঁচদিন ধরে কর্মসূচি করার পর শুক্রবার জেলা পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল।

March 15, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সচিত্র ভোটার তালিকা নিয়ে স্ক্রুটিনি অভিযানে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়িতে দলের সাতটি ব্লক, ২৪টি অঞ্চল এবং তিনটি টাউন ব্লক কমিটিতে ক্যাম্প করেছে। ভোটার তালিকা নিয়ে বাড়ি বাড়িও যাচ্ছে। পাঁচদিন ধরে কর্মসূচি করার পর শুক্রবার জেলা পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল।

জেলা সভানেত্রী (সমতল) ছাড়াও জেলা চেয়ারম্যান (সমতল) অলোক চক্রবর্তী, দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য গৌতম দেব, মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ প্রমুখ ছিলেন।

পাপিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত ২৯ জন ভূতুড়ে ভোটার মিলেছে। যারমধ্যে গত পঞ্চায়েত ভোটে নকশালবাড়িতে বিজেপির টিকিটে লড়াই করা এক মহিলার স্বামী বীরন্দ্রে কুমার রয়েছেন। তাঁর উত্তর প্রদেশের ভোটার তালিকাতেও নাম রয়েছে। তাঁর দু’টি এপিক কার্ড। ফাঁসিদেওয়ার ১৫৫ নম্বর পার্টের ভোটার তারাদেবী গুপ্তার নাম রয়েছে বিহারের বলরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ১২৩ নম্বর পার্টে। মাটিগাড়ার তুম্বাজোতের ভোটার কমলারানি ঘোষ বিধানসভা কেন্দ্র পরিবর্তনের আবেদনই করেননি। রানাঘাটের দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের ২৬৫ নম্বর পার্টে তাঁর নাম উঠেছে। আবার কিছু ভোটারের নাম দু’টি কেন্দ্রে রয়েছে।

আর মৃত ভোটারের সংখ্যা ৬৭৬। মারা যাওয়ার পরও তালিকায় নাম আছে। কিন্তু অনেক প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হয়েছে। এমন ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩০১। জেলা সভানেত্রী বলেন, ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত করতে অভিযান চলবে। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনেও নামা হবে। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, দিল্লিতে এভাবেই ভোটার তালিকায় কারচুপি করে ভোটে জয় পেয়েছে বিজেপি। বাংলাতেও সেই ছক কষেছিল। একই মন্তব্য গৌতম দেবের। দু’জনেই বলেন, ওদের বাংলা ছাড়া করবই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen