সোমবার সিওলে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করার ডাক অভিষেকের?

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:০০: সোমবার, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে ভারত-দক্ষিণ কোরিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ এক বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুম্বই হামলা থেকে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলার নেপথ্যে পাকিস্তানের যোগ প্রমাণিত হয়েছে। পাকিস্তানকে সমর্থন করার অর্থ জঙ্গিবাদে মদত দেওয়া। তা ভারত বরদাস্ত করবে না। সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতেই হবে। কার্যত তৃণমূল সাংসদ পাকিস্তানের মুখোশ খুললেন।
তিনি সাফ জানান, ভারতের ঐক্য ভাঙতে সন্ত্রাসবাদের কাছে মাথা নত করার প্রশ্নই নেই। অভিষেকের আর্জি, গোটা বিশ্ব আজ জঙ্গিদমনে হাতে হাত ধরে কাজ করুক।
বিশ্বের দরবারে ‘সন্ত্রাসী’ পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে দেশে দেশে যাচ্ছে ভারতের সংসদীয় প্রতিনিধি দল। একটি দল জাপান ঘুরে রবিবার দক্ষিণ কোরিয়া পৌঁছেছে। সেই দলেই রয়েছেন তৃণমূলের প্রতিনিধি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সিওলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করে পাকিস্তানকে কার্যত তুলোধোনা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বকে বলতে চাই, পাকিস্তানকে সমর্থন করার অর্থ হল সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া। ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলা শুধুমাত্র ভারতের জাতীয় সুরক্ষায় আঘাত নয়। এটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। আমরা আগেও বারবার বলেছি, পাকিস্তান নিজেদের মাটিতে সন্ত্রাসবাদীদের লালনপালন করে। যদি ইদানিংকালে ভারত ও পাকিস্তানের আর্থিক উন্নতির দিকে নজর রাখা যায়, তাহলে দেখা যাবে দু’দেশের মধ্যে আকাশপাতাল ফারাক। ভারতের উন্নতি থমকে দিতেই হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।”
উল্লেখ্য, পহেলগাঁওয়ে হামলা এবং তার উত্তরে পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে কেন্দ্রের অপারেশন সিঁদুরের কথা বৈঠকে উল্লেখ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাকিস্তান ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়াকে পাশে পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার পর ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরও যাওয়ার কথা রয়েছে অভিষেকদের।