বোমাতঙ্কের কারণে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের জরুরি অবতরণ ফুকেটে
বোমাতঙ্কের কারণে আন্দামান সাগরের খাই নামক একটি ছোট্ট দ্বীপে (যেটি থাইল্যান্ডের অন্তর্গত) তড়িঘড়ি অবতরণ করানো হয় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:২০: আজ আবারও বোমাতঙ্কের কারণে থাইল্যান্ড থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের জরুরি অবতরণ করানো হয়। সংবাদ সংস্থার সূত্রে খবর, বিমানটি থাইল্যান্ডের ফুকেট থেকে দিল্লি আসছিলো। বোমাতঙ্কের কারণে প্লেনটা আবার ফুকেটে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
বিমানে মোট ১৫৬ জন যাত্রী ছিলেন। সকাল ৯.৩০ এ ফুকেট থেকে রওনা হয়েছিল বিমানটি। লাগেজ কেবিনে বোমা রাখা আছে এই ফোন পেয়ে তড়িঘড়ি এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI 379-কে এমার্জেন্সী ল্যান্ডিং করানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আজ সকালেই ইরান-ইজরায়েল উত্তেজনার কারণ আকাশপথে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে আজ সকালে মুম্বাই থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া একটি ফ্লাইট তিন ঘণ্টা আকাশে ঘোরাঘুরি করার পর সেটি আবার মুম্বাই বিমানবন্দরে ফিরে আসে। বিমানটি ভোর ৫টা ৩৯ মিনিটে উড়ে তিন ঘণ্টা আকাশে ছিল।
তারপরই এয়ার ইন্ডিয়ার একাধিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে ও বেশ কয়েকটির রুট ও পরিবর্তন করা হয়েছে। হঠাৎ করে এই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি তৈরী হওয়ায় যাত্রীদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সেই কারণে দুঃখপ্রকাশ করেছে এয়ার ইন্ডিয়া।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের জন্য হোটেলে ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ চাইলে টিকিট বাতিল করে রিফান্ড পাচ্ছেন অথবা বিনামূল্যে রিস্কেডিউলের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত বিকল্প ফ্লাইটের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।
গতকাল (১২ জুন, বৃহস্পতিবার) দুপুরে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ঠিক বাইরে মেঘানি নগরে আবাসিক এলাকার উপর ভেঙে পড়ে। বিমানে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে একজন বাদে বাকি সকলেই মৃত।
এই দুর্ঘটনার ২৪ ঘন্টাও অতিক্রান্ত হয়নি, তার মধ্যেই আবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বোমাতঙ্কের ঘটনা চক্রান্তের জল্পনাকে আরও তীব্র করেছে। ২০২৫ সালের শুরু থেকে লাগাতার টেকনিক্যাল ফল্ট হয়ে চলেছে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারে। মাত্র ২৫ দিনের মধ্যে নিয়ম করে হাইড্রলিক লিক, ফ্ল্যাপ ম্যালফাংশন এবং ইঞ্জিন সমস্যা। এই সবকিছুর যোগফল কি কোনও ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে? নাকি গাফিলতি? ইচ্ছাকৃত? নাকি অনিচ্ছাকৃত?
বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি সংস্থা ঘটনার তদন্ত করছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্তর্ঘাতের তথ্য খারিজ করে দিয়েছে সংস্থাগুলো।