আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক: ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে কি মিলবে সমাধান?
ট্রাম্পের দাবি, পুতিনের ধারাবাহিক হামলা তাঁকে আলোচনায় শক্তি দিচ্ছে না, বরং ক্ষতি করছে। তিনি সতর্ক করেছেন, সমঝোতা না হলে রাশিয়াকে ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক পরিণতি ভোগ করতে হবে। জমি বিনিময়ের প্রসঙ্গ উঠতে পারে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার ইউক্রেনেরই থাকবে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২৩:১৫ : আলাস্কায় মুখোমুখি হতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তাল প্রেক্ষাপটে এই বৈঠককে ওয়াশিংটন বলছে ‘ঐতিহাসিক’। নজর রাখছে ইউরোপ, কিয়েভ ও মস্কো। পর্যবেক্ষকদের মতে এই বৈঠক কি বিশ্ব কূটনীতির ক্ষমতার ভারসাম্যেও বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত হতে পারে।
আলাস্কার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমি ইউক্রেনের হয়ে চুক্তি করছি না, পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আনতে যাচ্ছি।” তাঁর দাবি, পুতিনের অব্যাহত হামলা উল্টে তাঁরই ক্ষতি করছে। রাশিয়া সমঝোতায় না এলে ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক পরিণতি হবে।
ট্রাম্পের দাবি, পুতিনের ধারাবাহিক হামলা তাঁকে আলোচনায় শক্তি দিচ্ছে না, বরং ক্ষতি করছে। তিনি সতর্ক করেছেন, সমঝোতা না হলে রাশিয়াকে ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক পরিণতি ভোগ করতে হবে। জমি বিনিময়ের প্রসঙ্গ উঠতে পারে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার ইউক্রেনেরই থাকবে।
এদিকে, ট্রাম্প আলাস্কার পথে থাকতেই ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় আহ্বান জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেন রাশিয়াকে ‘আক্রমণ’ বন্ধে রাজি করান। তাঁর কথায়, “যুদ্ধ শেষ করার সময় এসেছে, আর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে রাশিয়াকেই। আমরা আমেরিকার উপর ভরসা করছি।”
বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক, সিআইএ প্রধান জন র্যাটক্লিফ-সহ একাধিক শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী শুক্রবার গভীর রাতে আলাস্কার এলমেনডর্ফ এয়ার ফোর্স বেসে বৈঠক শুরু হওয়ার কথা। শীতল যুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন নজরদারির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল এই ঘাঁটি। ১৮৬৭ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে আলাস্কা কেনার ঐতিহাসিক চুক্তির উল্লেখও করছে মস্কো, জমি বিনিময়ের বৈধতা প্রমাণে।