বনবস্তিতে একশো দিনের কাজে সেরা আলিপুরদুয়ার

বনবস্তি এলাকার বাসিন্দাদের একশো দিনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার নিরিখে রাজ্যসেরা হল আলিপুরদুয়ার। বনবস্তি এলাকায় ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে যে কর্মদিবস তৈরি হয়েছে, তা রাজ্যে আর কোথাও হয়নি বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। সোমবার নবান্ন থেকে এমন খবর পাওয়ার পরই উচ্ছ্বসিত আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের কর্তারা।

April 29, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

বনবস্তি এলাকার বাসিন্দাদের একশো দিনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার নিরিখে রাজ্যসেরা হল আলিপুরদুয়ার। বনবস্তি এলাকায় ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে যে কর্মদিবস তৈরি হয়েছে, তা রাজ্যে আর কোথাও হয়নি বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। সোমবার নবান্ন থেকে এমন খবর পাওয়ার পরই উচ্ছ্বসিত আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের কর্তারা। 

আলিপুরদুয়ারের বক্সা, জয়ন্তী থেকে জলদাপাড়া এলাকায় জেলার বনবস্তিগুলি ছড়িয়ে আছে। সব কটি বনবস্তিতেই চলতি অর্থবর্ষে একশো দিনের কাজ রেকর্ড সংখ্যক হয়েছে। 

এ বিষয়ে আলিপুরদুয়ারের জেলা শাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা বলেন, আলিপুরদুয়ার জেলায় বনবস্তির মোট ১২৫১টি পরিবারকে চলতি বছরে ১০০ দিনের বেশি কাজ দেওয়া হয়েছে। য়া গোটা রাজ্যের নিরিখে সর্বোচ্চ। চলতি অর্থবর্ষে একশো দিনের কাজে গোটা রাজ্যের বনবস্তিগুলির মধ্যে তাই আলিপুরদুয়ার জেলা প্রথম হয়েছে।

বনবস্তিতে একশো দিনের কাজে সেরা আলিপুরদুয়ার

আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পে আলিপুরদুয়ার জেলায় ১০২.৭ শতাংশ কাজ হয়েছে। ২০১৯-২০ সালে আলিপুরদুয়ার জেলায় মোট ২ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৪১টি পরিবারকে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে আলিপুরদুয়ার জেলা গঠনের পর এত বেশি সংখ্যায় পরিবারকে এই প্রথম ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ দেওয়া হল।

উত্তরবঙ্গে মোট ৩৫০টি বনবস্তি আছে। আলিপুরদুয়ার জেলায় আছে ৬৫টি বনবস্তি। এই ৬৫টি বনবস্তিতে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার বাসিন্দা আছেন। তাঁদের মূল জীবিকা চাষবাস, পশুপালন। এখন অনেকে হোমস্টের ব্যবসা করেও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। তবুও বনবস্তিগুলির প্রত্যন্ত এলাকায় কর্মসংস্থানের বড় অভাব বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। 

এই অবস্থায় আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন বনবস্তিগুলিতে কর্মসংস্থান বাড়াতে ১০০ দিনের কাজকে হাতিয়ার করে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen