প্রয়াত ‘আমূল গার্ল’-এর স্রষ্টা সিলভেস্টার ডাকুনহা

১৯৬৬ সালে গুজরাতের আনন্দের দুধ ও দুগ্ধজাত নানা জিনিস প্রস্তুতকারী কোঅপারেটিভের কর্তৃপক্ষ মাখনের এই ব্র্যান্ডের জন্য যখন আইকনিক একটি ম্যাসকট চাইছিলেন

June 21, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: যুগাবসান। ১৯৬৬ সাল থেকে শুরু। সিলভেস্টর ডাকুনহা তাঁর আর্ট ডিরেক্টর ইউস্তাসে ফার্নাদেন্জের সঙ্গে যৌথভাবে পেন্সিল স্কেচে ফুটিয়ে তুলেছিলেন আমূল গার্লকে। প্রয়াত হলেন আমূল-কন্যার সেই স্রষ্টা সিলভেস্টার ডাকুনহা।

এক সময়ে টেলিভিশন, সংবাদপত্র খুললেই দেখা যেত দুষ্টি-মিষ্টি সেই বালিকার ছবি। আমূলের মাখনের বিজ্ঞাপনে মুখ দেখাত সে। রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ হোক কিংবা ভারতের বিশ্বকাপ জয়, শাহরুখ খানের সুপারহিট সিনেমা হোক কিংবা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সর্বক্ষেত্রেই ‘মাখন’-এর মতো মজাদার বিজ্ঞাপন ফুটিয়ে তুলতে এই আমূল গার্লের জুড়ি মেলা ভার।

১৯৬৬ সালে গুজরাতের আনন্দের দুধ ও দুগ্ধজাত নানা জিনিস প্রস্তুতকারী কোঅপারেটিভের কর্তৃপক্ষ মাখনের এই ব্র্যান্ডের জন্য যখন আইকনিক একটি ম্যাসকট চাইছিলেন, তখন দায়িত্ব গিয়ে পড়েছিল এই সিলভেস্টর ডাকুনহার সংস্থার ডাকুনহা কমিউনিকেশনের উপর। তৈরি হয় মাথায় ঝুঁটি বাঁধা, লাল ববি প্রিন্টের ফ্রক পরে গোপাল গোপাল ভঙ্গিতে মাখন খাওয়া সেই মেয়ে। রাস্তার ধারের বিলবোর্ড থেকে শুরু করে খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন, সবেতেই তখন এই সংস্থার তৈরি আমূল গার্লের একের পর এক সুপারহিট বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হতে থাকল। অল্প দিনের মধ্যেই সুপারহিট হয়ে ওঠে ডাকুনহার আমূল গার্ল। তার পর বাকিটা ইতিহাস।

আমূল-কন্যার স্রষ্টার মৃত্যুর খবরটি বুধবার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ হেন স্টলওয়ার্টের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিজ্ঞাপন জগৎ। কেবলমাত্র দেশের গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না আমূল গার্ল। সিলবেস্টার ডাকুনহার এই সৃষ্টি গ্লোবাল আইকনে পরিণত হয়েছিল।

আমূল ইন্ডিয়ার জেনারেল ম্যানেজার পবন সিং ডাকুনহার প্রয়াণে গভীর শোকবার্তা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “ভারতের বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তী ছিলেন সিলভেস্টর ডাকুনহা। তিনি আর আমাদের মধ্য নেই। ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন এবং বিজ্ঞাপন তাঁর কাছ থেকেই শিখেছি। তিন দশক ধরে তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি ধন্য।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen