সেনাঘাঁটির পর রাজনৈতিক সভা, বালোচিস্তানে জোড়া হামলায় মৃত অন্তত ২৬, আহত বহু
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বালোচিস্তান ন্যাশনাল পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সরদার আতাউল্লা মেঙ্গালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শহরের এক স্টেডিয়ামে সভার আয়োজন করা হয়েছিল।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:০০: ফের রক্তাক্ত বালোচিস্তান (Balochistan)। মঙ্গলবার সকালে সেনা শিবিরে হামলার পর রাতে কোয়েটায় এক রাজনৈতিক সভায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। জোড়া হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৬ জনের। আহত হয়েছেন চল্লিশেরও বেশি মানুষ।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বালোচিস্তান ন্যাশনাল পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সরদার আতাউল্লা মেঙ্গালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শহরের এক স্টেডিয়ামে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মেঙ্গালের পরিবারের সদস্যেরাও। অনুষ্ঠান শেষে লোকজন বেরোনোর সময় পার্কিং লটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তে মৃত্যু হয় ১৮ জনের। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে আরও কয়েকজনের মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, এটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। তবে এখনও কোনও জঙ্গি সংগঠন এর দায় স্বীকার করেনি।
এর আগে মঙ্গলবার সকালেই আরেকটি হামলায় কেঁপে উঠেছিল উত্তর-পশ্চিম কাশ্মীরের বান্নু অঞ্চল। সেখানকার আধাসেনার ঘাঁটিতে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। গাড়িটি প্রথমে ধাক্কা মারে সেনা শিবিরের দেওয়ালে, তারপর ভেতরে ঢুকে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান অন্তত ১২ জন নিরাপত্তাকর্মী। পালটা প্রায় ১২ ঘণ্টার গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় ৬ জঙ্গি।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে কয়েক দশক ধরে আন্দোলন চালাচ্ছে বালোচ বিদ্রোহীরা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই আন্দোলন আরও উগ্র রূপ নিয়েছে। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত বালোচিস্তানে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৪৫০ জন, যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই নিরাপত্তারক্ষী। এদিকে জঙ্গি হামলার পাশাপাশি পাক সেনার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগও উঠছে বারবার।