আদালতকেও অস্বীকার স্বৈরাচারী কেন্দ্রের! সোনালি বিবি-প্রসঙ্গে আক্রমণ অভিষেকের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৪৫: সুপ্রিম কোর্ট বলেছে সোনালি বিবিরা (Sonali Bibi) ভারতীয় নাগরিক। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তাদের দেশে ফেরানোর কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। এবার কিন্তু কেন্দ্রের নীরবতা নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
সোমবার তিনি অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) সোনালি বিবিকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরও কেন্দ্র নিষ্ক্রিয়। এই সরকারকে ‘স্বৈরাচারী’ আখ্যা দিয়ে অভিষেক বলেন, এরা আদালতকেও মানে না।
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ‘‘এই সরকার এতই স্বৈরাচারী যে এরা আদালতকেও মানে না! আদালত বলার পরও তারা কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না।’’ তিনি এই প্রসঙ্গে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া অর্থ আটকে রাখার উদাহরণ টেনে এনে বলেন, একই ভাবে আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তারা বাংলায় ১০০ দিনের কাজ (100 days work) শুরু করতে দিচ্ছে না।
অন্যদিকে, পরিযায়ী শ্রমিক (migrant workers) সোনালি বিবি এবং তাঁর সঙ্গে থাকা পাঁচজন ভারতীয়র ভারতে ফেরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জের একটি আদালত তাঁদের ৫,০০০ টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেছে।
জানা যাচ্ছে, আগামী বুধবার, ৩ ডিসেম্বর এই আদালতেই সশরীরে হাজিরা দিতে হবে সোনালি বিবি ও তাঁর সঙ্গীদের। এরপরই জানা যাবে, কবে তাঁদের দেশে প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বীরভূমের পাইকর গ্রামের আদি বাসিন্দা সোনালি বিবি পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি তাঁর স্বামী ও সন্তান সহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে দিল্লিতে কর্মরত ছিলেন। গত জুন মাসে বাংলায় কথা বলার কারণে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) তাঁদের ‘বাংলাদেশি’ (Bangladeshi) দেগে দিয়ে প্রথমে আটক করে। মোট ৬ জনকে আটক করার পর অসম সীমান্ত দিয়ে তাঁদের বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করা হয়। এই ৬ জনের মধ্যে সোনালি বিবির সন্তানও ছিল।
দিল্লিতে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। সোমবার এই মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি (মেনশন) জানান আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে। সোনালি বিবির বাবা বদু শেখের তরফে আইনজীবী হেগড়ে অন্তঃসত্ত্বা সোনালিকে অবিলম্বে দেশে ফেরানোর আর্জি জানান।
প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের এজলাসে এই মামলা উঠলে তিনি সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে দ্রুত পদক্ষেপ করার কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আমরা এই বিষয়ে আজই কোনও নির্দেশ জারি করছি না। আপনারা দেখুন, কত দ্রুত পদক্ষেপ করা যায়।’’ প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত জানান, আগামী বুধবার তাঁরা এই মামলাটির শুনানি করবেন।