‘বঙ্গকন্যা রিচার ঘরে ফেরা’— শিলিগুড়িতে বিশ্বজয়ীর জন্য উৎসবের আবহ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:৫৩: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান শেষমেশ নিজের শহরে ফিরলেন ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের গর্ব, বঙ্গকন্যা রিচা ঘোষ। বিশ্বকাপজয়ের পর শিলিগুড়ি যেন উৎসবে ফেটে পড়েছে। বাগডোগরা বিমানবন্দরে শুক্রবার দুপুরে নামতেই রিচাকে বরণ করে নিলেন হাজারো মানুষ, ঢাক-ঢোল, ফুল ও উল্লাসে মুখরিত হয়ে উঠল গোটা শহর।
বিশ্বজয়ীর প্রত্যাবর্তনে যেন উৎসবের শহর শিলিগুড়ি। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে হুড খোলা ফুলে সাজানো জিপে চেপে শহরে ফিরলেন রিচা ঘোষ। রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে মানুষ দেখলেন নিজেদের নায়িকাকে, যিনি ভারতের প্রথম মহিলা বিশ্বকাপজয়ী বাঙালি ক্রিকেটার।
পুরনিগমের পক্ষ থেকে সুভাষপল্লি থেকে বাঘাযতীন পার্ক পর্যন্ত লাল গালিচা পেতে রিচাকে দেওয়া হয় গার্ড অফ অনার। বাঘাযতীন পার্কে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় তাঁকে ঘিরে উপচে পড়ল ভিড়। শহরের বিভিন্ন ক্লাব, স্কুল ও মহিলা ক্রিকেট সংস্থার তরফে জানানো হয় অভিনন্দন। উপস্থিত ছিলেন মেয়র গৌতম দেবও।
বাড়িতেও ছিল বিশেষ আয়োজন—রিচার প্রিয় ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন হলেও রিচার কথা মতো মা স্বপ্না ঘোষ এই দিন রান্না করেছেন পনিরের তরকারি,ডাল ,শাক ও মিষ্টি । তাঁর বাড়ি সেজে উঠেছিল আলো ও ফুলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তাও পৌঁছে গেছে রিচার হাতে, সঙ্গে রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছে পুলিশের চাকরির প্রস্তাব।
বিশ্বকাপে ২৩৫ রান, ১২ ছক্কা—রিচা ঘোষ আজ শুধু একজন ক্রিকেটার নন, এক প্রেরণার নাম। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর ৯৪ রানের ইনিংস থেকে ফাইনালের ২৪ বলে ৩৪—প্রত্যেকটা মুহূর্ত আজও ভোলেনি ক্রিকেটপ্রেমীরা।
এত বছর পর ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের বিশ্বজয়, আর সেই ইতিহাসের পাতায় প্রথম বাঙালি নায়িকা রিচা ঘোষ। শিলিগুড়ির রাস্তায় আজ তাঁর নামেই বাজছে ঢাক, আর প্রতিটি বাংলার মেয়ের চোখে জ্বলছে অনুপ্রেরণার আলো—“আমরাও পারি!”