বাঁকুড়ায় নিজের জেতা ওয়ার্ডেই প্রার্থী হলেন না বিজেপি বিধায়ক, কিন্তু কেন?

বাঁকুড়া শহরের মোট পুরসভার সংখ্যা ২৪টি। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে ২৪ টির মধ্যে ২৩ টিতেই জয়জয়কার হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির।

February 13, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের অন্যান্য ১০৭ পুরসভার নির্বাচন (Municipal Election)। কোমর বেঁধে প্রচারে নেমেছে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম। ইতিমধ্যেই সব দলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিনও শেষ। এরই মধ্যে বাঁকুড়ার বিজেপি শিবির থেকে এল চাঞ্চ্যলকর খবর। নিজেরই জেতা ওয়ার্ডে পুরভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন বিজেপি বিধায়ক।

বাঁকুড়া শহরের মোট পুরসভার সংখ্যা ২৪টি। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে ২৪ টির মধ্যে ২৩ টিতেই জয়জয়কার হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির। এমনকি একুশের বিধানসভা ভোটেও ২৪ টির মধ্যে মাত্র ৭টি মাত্র ওয়ার্ড গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে।

বাঁকুড়াবাসীর যে ওয়ার্ডের দিকে নজর, তা হল ১৬ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডেরি বাসিন্দা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার এবং বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা। এখানকার বিদায়ী কাউন্সিলর ছিলেন বাঁকুড়ার বর্তমানের বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা। এই ওয়ার্ড গত পৌরনির্বাচনে মানুষের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। এবারেও তাঁর নাম আসে বিজেপির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হিসেবে। কিন্তু কী এমন ঘটল যে হঠাৎই ওই ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে আসলেন তিনি? জল্পনা দানা বাঁধতে শুরু করে।

শাসক দল তৃণমূলের অবশ্য দাবি, ভোটে জিতে বিধায়ক হওয়ার পর মানুষের বিপদে, কাজে বিধায়ককে দেখতেই পাওয়া যায় না, তাই পৌরসভার ভোটে প্রার্থী হলেও হেরে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে, সেই ভয়েই নির্বাচন থেকে সরে গেছেন তিনি। অপর দিকে বিধায়কের দাবি, “আমি একজন বিধায়ক তাই ঐ কাউন্সিলার পদের কোনও লোভ নেই, তাই আমি একজন যোগ্য উত্তরসূরীকে সুযোগ করে দিয়েছি।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen