দিল্লি বিস্ফোরণ কান্ডে বাংলার মেডিকেল ছাত্রকে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় মুক্তি, কী বলল NIA?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২২:০০: দিল্লি বিস্ফোরণ (Delhi Blast) কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক হওয়া বাংলার এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুক্তি দিল জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA)। তবে তদন্তে সহযোগিতার শর্তে ছাড়া হয়েছে ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Al Falah University) ওই পড়ুয়াকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর মোবাইল ফোন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস। প্রয়োজনে তাঁকে দিল্লিতে ডেকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে এনআইএ (NIA)।
শনিবার বিকেলে উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) ডালখোলার কোনাল গ্রামে আত্মীয়ের বিয়েতে এসেছিলেন জানিসুর ওরফে নিশার আলম। পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় বেড়ে ওঠা নিশার বর্তমানে ফরিদাবাদে ডাক্তারি পড়ছেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি কোনাল গ্রামেই। আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া হিসেবে তদন্তকারীদের নজরে ছিলেন তিনি। সেই সূত্রেই শনিবার সন্ধ্যায় এনআইএ-র একটি দল তাঁকে আটক করে শিলিগুড়ির দপ্তরে নিয়ে যায়।
সেখানে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার নিশারকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁর কাকার দাবি, “ও নির্দোষ। এনআইএ নিজের কাজ করেছে। আমরা সহযোগিতা করেছি।” যদিও তদন্তকারীরা নিশারের মোবাইল পরীক্ষা করে দেখতে চান, তাঁর কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন কিছু ‘জঙ্গি’ সন্দেহভাজনের সঙ্গে।
এটাই প্রথম নয়, দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে এর আগেও বাংলায় তল্লাশি চালিয়েছে এনআইএ। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে পরিযায়ী শ্রমিক মইনুল হাসানের বাড়িতে হানা দেয় তারা। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে কাজ করার সময় এক বাংলাদেশির সঙ্গে থাকতেন মইনুল। সেই সূত্রেই তাঁকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করে তদন্তকারীরা।