Odisha: ওড়িশায় আবারও হেনস্তার শিকার বাঙালি শ্রমিক, ‘দিদিকে বলো’ হেল্পলাইনের সহায়তায় মিলল মুক্তি
শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণে তাঁকে বাংলাদেশী সন্দেহে বিজেপির পুলিশ আটক করে এবং প্রায় ৮-৯ ঘণ্টা ধরে হেনস্তা করে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৩৫: কোচবিহারের এক বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক বিজেপি-শাসিত আবারও ওড়িশায় (Odisha) পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মিঠুন বর্মন নামের এই শ্রমিক কোচবিহারের ছোট শালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা, যিনি ওড়িশার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে (private company) কাজ করেন। তাঁর দাবি, শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণে তাঁকে বাংলাদেশী সন্দেহে বিজেপির পুলিশ আটক করে এবং প্রায় ৮-৯ ঘণ্টা ধরে হেনস্তা করে।
মিঠুনের অভিযোগ, ওড়িশা পুলিশ তাঁর সমস্ত আইডি প্রুফ (ID proof) যেমন ভোটার কার্ড (voter card) ও আধার কার্ড (Aadhaar card) নিয়ে নেয়। তিনি নিজেকে ভারতীয় নাগরিক প্রমাণ করার চেষ্টা করলেও পুলিশ তা মানতে রাজি হয়নি। বিপদে পড়ে মিঠুন কোচবিহারের স্থানীয় বিজেপি নেতাদের (BJP leaders) ফোন করেন, কিন্তু কেউই তাঁকে সাহায্য করেননি। শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘দিদিকে বলো’ (Didi Ke Bolo) হেল্পলাইনে ফোন করায় তিনি মুক্তি পান এবং তাঁকে নিরাপদে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়।
এটি প্রথমবার নয় যখন কোনো বাঙালি শ্রমিক বিজেপি-শাসিত রাজ্যে (BJP-ruled state) ভাষাগত বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। গত কয়েক মাসে একাধিক ঘটনায় বাঙালিদের ওপর এমন হামলার খবর এসেছে, যা নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হয়েছেন। তিনি বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় নতুন আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।
এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া বাংলাভাষী শ্রমিকদের নিরাপত্তা কতটা?
এদিকে, ‘দিদিকে বলো’ প্রকল্পের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বারবার বিপদগ্রস্ত বাঙালিদের সাহায্য করে আসছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।