Bihar elections 2025: ভোটের ময়দানে কে মুখ্য ‘খিলাড়ি’, ঝুঁকির মুখেই বা কারা?

October 6, 2025 | 2 min read
Authored By: author Manas Modak
Published by: Saikat

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০:০০: নভেম্বরের ৬ ও ১১ তারিখে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। ফলাফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে জোরদার প্রচারাভিযান। এই নির্বাচন শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নয়, একাধিক নেতার ভবিষ্যত গঠনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নীতীশ কুমার: শেষ লড়াই?

দুই দশকের শাসনের পর দশমবারের মতো মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। ‘পাল্টু রাম’ নামে পরিচিত এই নেতা একাধিকবার জোট বদল করে আলোচনায় এসেছেন। এবার তাঁর ‘বিকাশ পুরুষ’ ভাবমূর্তি কতটা টিকে থাকে, তা নির্ধারণ করবে ভোটাররা। ৭৪ বছর বয়সী নীতীশকে ঘিরে উঠেছে মানসিক সক্ষমতা ও নেতৃত্বের প্রশ্ন। এই নির্বাচন শুধু তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নয়, জেডিইউ-এর (JDU) অস্তিত্বও নির্ধারণ করব, দলটি কি স্বাধীন শক্তি হিসেবে টিকে থাকবে, না কি বিজেপির (BJP) ছায়ায় হারিয়ে যাবে?

তেজস্বী যাদব: প্রথমবারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ

আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের জন্য এটি সবচেয়ে বড় সুযোগ। ২০২০ সালে তাঁর নেতৃত্বে আরজেডি (RJD) ৭৫টি আসন পেয়ে রাজ্যের বৃহত্তম দল হয়েছিল। মাত্র ১২,৭৬৮ ভোটের ব্যবধানে এনডিএ-র পিছনে পড়ে যায় মহাগঠবন্ধন। এবার সেই ক্ষীণ ব্যবধান ঘোচানোর লক্ষ্যে এগোচ্ছেন তেজস্বী (Tejashwi Yadav)। যুব সমাজ, অ-যাদব ওবিসি এবং বিরোধী ভোটারদের সমর্থন পেতে তাঁর নেতৃত্ব ও জোট পরিচালনার দক্ষতা বড় পরীক্ষা দিতে চলেছে।

রাহুল গান্ধী: কংগ্রেসের পুনরুত্থানের চাবিকাঠি

বিহার নির্বাচন রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) জন্য জাতীয় নেতৃত্বের পরীক্ষার ক্ষেত্র। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও দিল্লিতে পরাজয়ের পর কংগ্রেসের (Congress) পুনরুজ্জীবনের জন্য বিহার (Bihar) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘’অতি পিছড়া ন্যায় সংকল্প’-এর মতো ইস্যু নিয়ে প্রচারে নেমেছেন তিনি। এবার দেখা যাবে, তাঁর উচ্চপ্রচার ভোটে কতটা রূপান্তরিত হয় এবং কংগ্রেস কি আদৌ হিন্দি বলয়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে পারে।

চিরাগ পাসওয়ান: জাতীয় পরিচিতি থেকে আঞ্চলিক শক্তিতে রূপান্তর

লোকসভায় ধারাবাহিক সাফল্য পেলেও বিহারে বিধানসভায় চিরাগ পাসওয়ানের (Chirag Paswan) প্রভাব এখনও সীমিত। এবার তাঁর লক্ষ্য, দলকে ‘স্পয়লার’ নয়, বরং একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। এলজেপি কি এবার দিল্লির দরকষাকষির বাইরে গিয়ে পাটনায় বাস্তব ক্ষমতা অর্জন করতে পারবে, সেটাই দেখার।

প্রশান্ত কিশোর: নতুন রাজনীতির পরীক্ষামূলক সূচনা

রাজনৈতিক কৌশলবিদ থেকে নেতা হয়ে ওঠা প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) তাঁর জন সুরাজ (Jan Suraaj) পার্টিকে নিয়ে বিহারের ২৪৩টি আসনে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জোটবদ্ধ রাজনীতির বাইরে গিয়ে JSP-কে একটি বিকল্প শক্তি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন তিনি। এই নির্বাচন তাঁর জন্য ‘সবকিছু নয়, কিছুই নয়’ ধরনের বাজি, জিতলে নতুন শক্তি, হারলে রাজনৈতিক অপ্রাসঙ্গিকতা।

তথ্য ঋণ: times of india

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen