Bihar Elections: বিহারে আসন বণ্টন করতে বিজেপি-জোটের মধ্যে চরম অশান্তি

বিজেপির দেওয়া আসনসংখ্যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (HAM) নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঞ্জি জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের “সব বিকল্প খোলা” রয়েছে। শনিবার দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি জে.পি. নাড্ডার বাসভবনে গিয়ে বৈঠক করে বেরিয়ে এসে তিনি কার্যত বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী তথা বিহার নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ধর্মেন্দ্র প্রধানও (Dharmendra Pradhan)।
বৈঠকের পর HAM নেতা রাজেশ পাণ্ডে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আমাদের মতামত বিজেপি নেতৃত্বকে জানিয়েছি। রাজনীতিতে কারও সঙ্গে চিরস্থায়ী বন্ধুত্ব বা শত্রুতা থাকে না। আমাদের দাবি নিয়ে আমরা অটল, শীঘ্রই এর ফলাফল সবাই দেখবেন।”
জিতন রাম মাঞ্জি আগেই সতর্ক করেছিলেন, যদি অন্তত ১৫টি আসন না দেওয়া হয়, তবে তাঁর দল নভেম্বরের নির্বাচনে অংশ নেবে না। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের তরফে HAM-কে মাত্র ৭টি আসন দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা দলের কাছে অপমানজনক বলে মনে হয়েছে।
এদিকে, বিজেপির অভ্যন্তরে তৎপরতা চলছে প্রার্থী তালিকা তৈরি ও আসন সমঝোতা নিয়ে। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দলের নির্বাচন কমিটির বৈঠকের আগেই সবকিছু গুছিয়ে নেওয়ার চাপ তৈরি হয়েছে।
একইভাবে, আরেক এনডিএ শরিক লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস), যার নেতৃত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ান (Chirag Paswan), তারাও শনিবার দিল্লিতে নিজেদের কোর কমিটির বৈঠক করেন। তাঁরা ৩৫টি আসন দাবি করলেও বিজেপি দিয়েছে মাত্র ২৬টির প্রস্তাব, যা নিয়েও অসন্তোষ প্রবল।
একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) উপস্থিতিতে বিজেপি নির্বাচনী প্রস্তুতি করছে, অন্যদিকে ময়দানে জোটের ফাটল ক্রমে স্পষ্ট হচ্ছে। এনডিএর এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব শুধু তাঁদের রাজনৈতিক দুর্বলতাই প্রকাশ করছে না, বরং বিহারের ভোটারদের কাছেও স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে যে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট আসলে ভেতরে-ভেতরে ভাঙনের পথে।