Bijoya Dashami 2025: অঘটন রুখতে ঘাট চত্বরে কড়া নজরদারি পুলিশের, সাফাইয়ে জোর পুরসভার

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ০৯:৩৫: আজ দশমী। উমার বিদায়ের দিন। তবে বৃহস্পতিবার পড়ায় অধিকাংশ মণ্ডপে আজই প্রতিমা বিরাজমান থাকছেন, ফলে বিসর্জনের মূল ভিড় শুক্রবার থেকে ঘাটে বাড়বে। সুষ্ঠুভাবে নিরঞ্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কলকাতা পুলিশ ও পুরসভা একযোগে প্রস্তুতি নিয়েছে।
বুধবার নবমীর দুপুরে পুর কমিশনার ধবল জৈন সব বিভাগের শীর্ষকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। আজ থেকেই প্রতিটি ঘাটে পুরসভার সাফাইকর্মীরা নিযুক্ত রয়েছেন। প্রতিটি ঘাটে একজন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নজর রাখবেন। পাশাপাশি থাকছে অ্যাম্বুল্যান্স, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ও সিসিটিভি ক্যামেরা।
ঘাট চত্বরের নিরাপত্তা সামলাবে কলকাতা পুলিশ। লালবাজার জানিয়েছে, আজ থেকে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী ঘাটে মোতায়েন থাকবে। গঙ্গায় টহল দেবে রিভার ট্রাফিক পুলিশ। আকাশপথে নজরদারির জন্য ড্রোন ও সাতটি ঘাটে ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে। জলপুলিশের একটি রেসকিউ টিম প্রস্তুত রয়েছে, যেখানে থাকছেন পাঁচজন ডুবুরি। বাজে কদমতলা ঘাটে বিশেষ লঞ্চে থাকবেন আরও ছয়জন ডুবুরি।
বাগবাজার, বাজে কদমতলা, গোয়ালিয়র ও নিমতলা ঘাটে ডিএমজির বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ঘাটে একজন ইন্সপেক্টরের অধীনে পুলিশ টিম থাকবে, যাদের তদারকি করবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ও ডিসিরা।
দুর্ঘটনা এড়াতে ঘাটে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সতর্কতা প্রচার করা হচ্ছে। পুজো কমিটিগুলিকে জোয়ার-ভাটার সময় মেসেজে সতর্ক করা হবে। নিমতলা, বাজে কদমতলা, গোয়ালিয়র ও বিচালিঘাটে চারটি বোট রাখা হয়েছে, যাতে প্রতিমা জলে ফেলার পর কাঠামো দ্রুত সরানো যায়। ডিসি কমব্যাটের নেতৃত্বে উদ্ধারকারী টিমও প্রস্তুত।
কোনও পুজো কমিটি যাতে ডিজে না বাজায়, সেদিকেও কড়া নজরদারি থাকবে। কলকাতার ২৩৮টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনকি আয়োজকদের গ্রেপ্তারও হতে পারে।
বিসর্জনের আবর্জনা যাতে পাইপলাইনের মুখ বন্ধ না করে, সেজন্য বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে। পরিবেশ দপ্তর ও নমামি গঙ্গে প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ঘাটে বাঁশের খাঁচা বসানো হয়েছে। ফুল, বেলপাতা এবং অন্যান্য উপচার ফেলার জন্য ঘাটের পাশে রাখা হয়েছে ডাস্টবিন।