TMC: সংসদে কোণঠাসা বিজেপি, রিজিজুর বক্তব্যে স্পষ্ট ‘তৃণমুল ভীতি’

August 24, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:২৪: সংসদের বাদল অধিবেশন কার্যত কেটে গেল একের পর এক আন্দোলন, প্রতিবাদ আর শাসক দলের কাণ্ডজ্ঞানহীন ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে। বিহারের SIR থেকে শুরু করে ট্রাম্পের শুল্কনীতি, কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী অপসারণের বিল এবং বিজেপি-শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের লাগাতার অত্যাচার – প্রতিটি ইস্যুতেই ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা পথে নেমেছিলেন। কিন্তু সব কিছুর কেন্দ্রে যে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস, সেটা বিজেপিরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিলেন – কংগ্রেস নয়, আসল চ্যালেঞ্জ এসেছে তৃণমূলের কাছ থেকেই।

এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিজিজু বলেন, কংগ্রেস সাংসদরা শুধু তাঁদের দলনেতার নির্দেশে কাজ করেন। কিন্তু তৃণমূলের সাংসদরা দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ করেন। তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম টেনে কুৎসা রটাতে চাইলেও আসলে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন – দিল্লির রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে এখন আর কংগ্রেস নয়, তৃণমূলই রয়েছে। বিজেপির ভিতরে যে তৃণমূল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, তারই প্রকাশ ঘটেছে রিজিজুর মন্তব্যে।

অমিত শাহ যখন ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করেন, তখনই তৃণমূল সাংসদরা সরব হয়ে ওঠেন। ওয়েলে নেমে জোরদার প্রতিবাদ, বিলের কপি ছিঁড়ে ফেলা, অমিত শাহর দিকে ছুঁড়ে দেওয়া – এসব দৃশ্য দেখে অন্যান্য বিরোধী দলও আন্দোলনে সামিল হয়। কার্যত তৃণমূলের দেখাদেখি সংসদে তৈরি হয় তীব্র প্রতিরোধ।

রাজনৈতিক মহলের অভিমত, বিজেপি আজ বুঝে গিয়েছে – তাদের স্বপ্নের কংগ্রেস-মুক্ত ভারত মানেই তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি। আর তাই কংগ্রেসকে আক্রমণ করার বদলে বিজেপি নেতৃত্ব এখন ক্রমশ বেশি করে তৃণমূলকে নিশানা করছে। রিজিজুর এই বক্তব্যই প্রমাণ করছে – দিল্লিতে বিজেপির মূল প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen