স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও বঞ্চিত বাংলা? জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে রাজ্যের ৩ হাজার কোটি টাকা আটকে রাখার অভিযোগ BJP সরকারের বিরুদ্ধে
অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের (NHM) ৩ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। ফলে বিপুল সংখ্যক কর্মীর ইনসেনটিভ দেওয়া যাচ্ছে না।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:২৮: একশো দিনের কাজ, আবাস, জল জীবন মিশন ক্রমশ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার তালিকা। স্বাস্থ্যদপ্তরের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন শাখার আওতাধীন ৭৬ হাজার চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার। এঁরাই রাজ্যের গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেন। তাঁরাই রাজ্যের ১০ হাজারের বেশি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিচালনা করেন। এঁদের মধ্যে আছেন কমিউনিটি হেলথ অফিসার (সিএইচও), হেলথ অ্যাসিন্ট্যান্ট (ফিমেল) বা এএনএম-১ এবং কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিন্ট্যান্ট বা এএনএম-২ এবং আশাকর্মী। অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের (NHM) ৩ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। ফলে বিপুল সংখ্যক কর্মীর ইনসেনটিভ দেওয়া যাচ্ছে না।
গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ১৩ মাস ওই কর্মীদের পারফরম্যান্স লিঙ্কড ইনসেনটিভ বকেয়া রয়েছে। এক একজন কর্মীর ভাতা বাবদ প্রাপ্য ২৪-২৫ হাজার থেকে ৬৫-৭০ হাজার টাকা। সবথেকে বেশি সংখ্যায় আছেন আশাকর্মীরা। তাঁদের সংখ্যা ৫০, ৯৩৮। এর পরেই ১৫,২৫০ জন প্রথম ও দ্বিতীয় ANM। সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির পরিচালক তথা কমিউনিটি হেলথ অফিসারের সংখ্যা ৯,৮৮১। ৪৫০ জন আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল অফিসারও আছেন তালিকায়। জানা গিয়েছে, গত ১৩ মাসে ৭৬ হাজার কর্মীর শুধু পিএলআই খাতেই ১৩০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। প্রতি তিন মাস অন্তর বকেয়া থাকছে ৩১ কোটি টাকার বেশি। আশাকর্মীদের বকেয়ার পরিমাণ সর্বাধিক প্রতি তিন মাসে প্রায় ১২ কোটি ৮৭ হাজার টাকা। প্রথম ও দ্বিতীয় এএনএমদের মোট বকেয়া ৫.৭৮ কোটি টাকা। সিএইচওদের প্রতি তিন মাস অন্তর বকেয়া হচ্ছে ১২ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা।
সবচেয়ে বেশি পিএলআই বাকি CHO-দের। প্রতি মাসে ৫ হাজার করে ১৩ মাসে ৬৫ হাজার টাকা। তারপরেই আছেন প্রথম ও দ্বিতীয় ANMরা। এক-একজন আশাকর্মীর পিএলআই বাবদ ১৩ মাসের জন্য ১৩ হাজার টাকা বকেয়া।
রাজ্যের আশাকর্মী ইউনিয়নের বক্তব্য, ১৩ মাসের পিএলআই ছাড়াও তাঁদের চার মাসের উৎসাহ ভাতা বাকি। সে বাবদ তাঁরা প্রায় ১২ হাজার টাকা পান। বাকি রয়েছে মোবাইলের খরচ বাবদ পাওনাও। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানান, কেন্দ্র ৩ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে না। সেই জন্যই সমস্যা। রাজ্য বাজেট থেকে ২০০ কোটি টাকা পেয়েছে দপ্তর। রাজ্যই মিটিয়ে দেবে টাকা। আশা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তাঁরা ইনসেনটিভ পেয়ে যাবেন।