ইস্তেহারে রাজ্য সরকারকে অনুকরণ করেছে বিজেপি: তৃণমূল

৭৫ লক্ষের হিসেব তারা কোথায় পেলেন। এছাড়াও ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষনাও আমরাই আগে করেছি। আমরা প্রতি একরে এই টাকা দিচ্ছি। ওরা দুই একরে দিচ্ছেন’।

April 5, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

‘বিজেপি বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পালন করতে অক্ষম, নাহলে এতদিনে অন্যান্য রাজ্যে করে ফেলতে পারত’। সাংবাদিক বৈঠকে এভাবেই সোনারবাংলা সংকল্পপত্র বা বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারের কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী পূর্নেন্দু বসু। বিজেপি (BJP) নিজেদের ইস্তেহারে তৃণমূলকে (Trinamool) অনুকরণ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

প্রথমেই তিনি বিজেপিকে মিথ্যেবাদী বলে বলেন, ‘বিজেপি বলছে ৭৫ লক্ষ কৃষক পরিবারকে বছরে ১০,০০০ টাকা করে দেবে। কিন্তু বাংলায় ৭১ লক্ষ কৃষক পরিবার আছে। ৭৫ লক্ষের হিসেব তারা কোথায় পেলেন। এছাড়াও ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষনাও আমরাই আগে করেছি। আমরা প্রতি একরে এই টাকা দিচ্ছি। ওরা দুই একরে দিচ্ছেন’।

তিনি প্রশ্ন তোলেন,‘এই টাকা কি সব রাজ্যেই দেওয়া হবে নাকি শুধু বাংলায়? একথা ইস্তেহারে উল্লেখ করা হয়নি’।

তিনি বিজেপির ইস্তেহারের বিশ্লেষণ করে বলেন, ‘বিজেপি বলেছে এইবার কৃষকদের আসল পরিবর্তন হবে। কিন্তু আসল পরিবর্তন ২০১১- তেই হয়ে গেছে। বাংলায় কোন কৃষক অসন্তোষ নেই’।

তিনি আরো বলেন, ‘২০২৬- এর মধ্যে বিজেপি কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করার দাবি করেছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রোজগার তিনগুণ হয়ে গেছে’।

তিনি জানান ৬৮ লক্ষ প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৬৬ লক্ষ কৃষককে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। রাজ্যে খাদ্য শস্যের উৎপাদন ১৪৮ লক্ষ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ১৯৮ লক্ষ মেট্রিক টন হয়েছে। মাংসের উৎপাদন ৫৬.৫৭ শতাংশ এবং দুধের উৎপাদন ৩৩.৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও রাজ্য কৃষি ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃতি বারবার পেয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা ১৮৬ টি কিষাণ মান্ডি তৈরি করেছি। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারকে সাহায্য করতে নারাজ’।

এছাড়াও রাজ্য সরকারের ‘আমার ফসল আমার গোলা’ প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। যেখানে কৃষকদের ফসল সংরক্ষণের জন্য ১৭,৯০০ টাকা করে দেওয়া হয়। রাজ্যের বেশির ভাগ কৃষককেই এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। ৭০ লক্ষ কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen