‘আমাকে হাতজোড় করে কেন্দ্রের মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে হয়, তাও তাঁরা দেখা করেন না’- ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিজেপি সাংসদ অনন্ত মহারাজ
বিশ্ববীর চিলারায়ের ৫১৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে কোচবিহার-২ ব্লকের সিদ্ধেশ্বরীতে দু’দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অনন্ত মহারাজ পন্থী গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কোচবিহারকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিকে কিছুতেই আমলই দেয় না তাঁর দল! এই সীমাহীন উপেক্ষা ও টালবাহানার জন্যই কেন্দ্রের সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি’র রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ। বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রের মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তাঁরা দেখা করেন না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
বিশ্ববীর চিলারায়ের ৫১৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে কোচবিহার-২ ব্লকের সিদ্ধেশ্বরীতে দু’দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অনন্ত মহারাজ পন্থী গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার শুরু হয়েছিল সেই অনুষ্ঠান। বুধবারের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষত্রিয় জনজাতির সর্বস্তরের নেতৃত্ব। মঞ্চে একে একে ভাষণও দেন তাঁরা।
এদিন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে কার্যত কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ। কেন্দ্রের সরকারের উপর যে তিনি বেজায় ক্ষুব্ধ সেকথা অক্ষরে অক্ষরে বুঝিয়ে দেন। তিনি বলেন, আমরা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চাই না। একথা বহুবার বলেছি। আমরা চাই কোচবিহার রাজ্যের সঙ্গে ভারত-ভুক্তি চুক্তির বাস্তব রূপায়ণ। বলেছি, কোচবিহার ‘গ’ শ্রেণির রাজ্য ছিল, সেটাই করে দিন আপনারা। তখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রাজ্যের বদলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিন। সেই মতো সরকারের প্রস্তাবও মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু দেখলাম সেটাও হল না।
এরপরই বিজেপি সাংসদ বলেন, প্রথম সরকার গেল, দ্বিতীয় সরকারও গেল। তৃতীয় সরকার পড়তে পড়তে বেঁচে গেল। জানি না ওরা কি করতে চায়। ইদানীং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের মন্ত্রীদের কাছে গেলেও তাঁরা দেখা করেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি’র রাজ্যসভার এই সাংসদ। তিনি বলেন, আমি কেন্দ্রীয় সরকারের একজন এমপি। আমি তো ক্যাবিনেটে নেই। আমাকে হাতজোড় করেই মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে হয়। তাও তাঁরা দেখা করেন না।