কার্শিয়াং’য়ে অপেক্ষা করছে ইতিহাসের গন্ধ মেশানো ‘কাফে ডি সেন্ট্রাল ১৮৮১’

১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ন্যারো গেজ পরিষেবাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।

September 2, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পুজোয় কার্শিয়াং গেলে আপনার জন্য নতুন সাজে অপেক্ষা করে থাকবে ‘কাফে ডি সেন্ট্রাল ১৮৮১’। যার পরতে পরতে রয়েছে ইতিহাস।

১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ন্যারো গেজ পরিষেবাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। ১৮৭৯ সালে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের কাজ শুরু হয়েছিল। তখন নাম ছিল দার্জিলিং স্টিম ট্রামওয়ে। ১৮৮১ সালে সে কাজ শেষ হয়। পরে নাম বদলে হয় দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। কার্শিয়াং তারই সদর দপ্তর। সেই সময় কার্শিয়াং স্টেশনে ছিল একটি রিফ্রেশমেন্ট রুম ও বার। শোনা যায়, এর নাম ছিল সোরাবজি রিফ্রেশমেন্ট রুম। যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে এটি তৈরি করা হয়েছিল। এই জায়গাতেই গড়ে তোলা হয়েছে কাফে ডি। সাজানো হয়েছে পুরনো দিনের বিভিন্ন দুর্লভ ছবি দিয়ে।

‘গেস দিস প্লেস’। অনুমানের সুবিধায় রেলমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, একটি রেল স্টেশনের। রিটুইট করে রেলমন্ত্রক তারপর আবার লেখে, এটি একটি ক্যাফেটেরিয়া। সেই সময় বৈষ্ণবের পোস্ট করা ওই দু’টি ছবি ঘিরে চূড়ান্ত কৌতূহল তৈরি হয় নেটিজেনদের মনে। হওয়ার কারণ, ঠিক যেন ব্রিটিশ আমলের কোনও সরকারি বাংলোর ছবি। মেঝে থেকে দেওয়াল, সর্বত্র কাঠের প্যানেল। মাঝ বরাবর উঠে গিয়েছে কাঠের সিঁড়ি। সেই সিঁড়িকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে ঝুলছে পেল্লাই ঝাড়বাতি। আসলে ব্রিটিশ আমলে কার্শিয়াং স্টেশনের এই জায়গাতেই ছিল একটি ফুড কোর্ট। সংস্কারের পর সেটি চালু করা হয়েছে নতুন করে। তবে তার রূপটানে ব্রিটিশ আমলের স্মৃতি সযত্নে ধরে রাখা। রেস্তরাঁয় ঢোকার ঠিক সামনেই একটি প্ল্যাটফর্ম। তার উপর রাখা একটি হাতে টানা রিকশ। দিনরাত সেখানে ভিড় ছবি শিকারিদের।

নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের সব ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।’ রেলের তরফে রেস্তরাঁটি লিজে দেওয়া হয়েছে। রেস্তরাঁর এক কর্মী জানিয়েছেন, ‘চাইনিজ, মোগলাই থেকে কন্টিনেন্টাল, মিলবে সবই। রয়েছে আইসক্রিম ও মকটেল কাউন্টারও। আর হ্যাঁ, অবশ্যই দার্জিলিং চা।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen