রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ? তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব?

সংবিধানের ৩৬১ এবং তার ২ নম্বর উপধারায় বলা রয়েছে, রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদাধিকারী।

May 3, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন খোদ রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে কি আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায়?

রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে হঠাৎ করে কোনও মামলা শুরু করা যায় না। সংবিধানের ৩৬১ এবং তার ২ নম্বর উপধারায় বলা রয়েছে, রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদাধিকারী। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত বা ফৌজদারি মামলা করা যাবে না। দেশের কোনও আদালতেরও এ ক্ষমতা নেই। রাজ্যপালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো যায় না, তাঁকে গ্রেফতার করা যায় না, মামলা দায়ের করা যায় না। সংবিধানের ৩৬১ ধারা অনুযায়ী, রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতি যতদিন তাঁদের পদে আসীন থাকেন ততদিন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা শুরু করা যায় না বা গ্রেপ্তার করা যায় না। যদি কোনও অভিযোগ সামনে আসে, তবে সংসদের (লোকসভা বা রাজ্যসভা) যেকোনও একটি কক্ষ কমিটি গঠন করে অভিযোগের তদন্ত করতে পারে। তদন্তে যদি দেখা যায় সাংবিধানিক পদাধিকারী দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, তখন সংবিধান অনুসারে তাঁকে পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে।

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। রাজ্য ও স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে বিষয়টি জানিয়েছে পুলিশ। লিখিত আকারে এই অভিযোগ
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে জানানো যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো যায় কি না, তা নিয়েও পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen