বেহাল পরিকাঠামো, হিসাবে গরমিল, ফেরার আগে মুখ্যসচিবকে চিঠি কেন্দ্রীয় দলের

দু’সপ্তাহ ধরে পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর দিল্লি ফেরার আগে পেশ করা রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর সব দাবি করল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল।

May 4, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

দু’সপ্তাহ ধরে পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর দিল্লি ফেরার আগে পেশ করা রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর সব দাবি করল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। তাদের রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গে ৫০ লক্ষ মানুষকে করোনার জন্য সমীক্ষা করা হয়েছে বলে রাজ্য সরকারের দাবিতেও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। 

পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে পেশ করা এই রিপোর্ট হিন্দুস্তান টাইমসের হাতে এসেছে। সোমবার দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করবে এই দল। 

দু’সপ্তাহ ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন হাসপাতাল ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিদর্শন করে ও লকডাউন কার্যকর করতে রাজ্য প্রশাসনের তৎপরতায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। 

প্রতিনিধিদলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র রাজ্যের মুখ্যসচিবকে লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত্যু প্রতিদিনের তথ্যে তুলে ধরা হবে। হাসপাতালগুলিই করোনায় মৃতদের ডেথ সার্টিফিকেট দেবে। রাজ্য সরকারের তৈরি কমিটি তা থেকে কয়েকটি ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ সমীক্ষা করে দেখবে। স্বচ্ছতার দিকে এটি এতটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ১০৫ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। গোটা দেশে করোনায় মৃত্যুর হারে যা সর্বোচ্চ। পশ্চিমবঙ্গে ১২.৮ শতাংশ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।’

রাজ্যে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাতেও গরমিল রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। তাদের হিসাবে, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হিসাব অনুসারে রাজ্যে করোনায় ৭৪৪। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারকে একই দিনে তারা জানিয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ৯৩১. তাহলে বাকি ১৮৭ জন কোথায় গেলেন?’
এছাড়া স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রকাশিত দৈনিক করোনা বুলেটিনে কেন মোট মৃতের সংখ্যা আর জানানো হচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রীয় দল। 
এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের করোনার রেড জোন ৪ জেলায় ৫০ লক্ষ মানুষের ওপর রাজ্য সরকার করোনা সমীক্ষা চালিয়েছে বলে যে দাবি করেছে তকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করানো হয়েছে। কমিটির মতে, এত বিপুলসংখ্যক মানুষের সমীক্ষা করার জন্য যে মজবুত পরিকাঠামো থাকা দরকার তা কোথাও চোখে পড়েনি। 
হিন্দুস্তান টাইমসকে প্রতিনিধিদলের এক সদস্য জানিয়েছেন, ‘রবিবার কেন্দ্রীয় দলের কনভয়ের এক চালকের করোনা ধরা পড়ে। তার পরও ওই চালকের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তা চিহ্নিত করতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি সরকার।’

এছাড়া কেন্দ্রীয় দলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘রাজ্য সরকারের তরফে কোনও সাহায্য পায়নি তারা।’ শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের সক্রিয় বিরোধিতার মুখে তাঁদের পড়তে হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen