নীতি আয়োগেরই রিপোর্ট কার্ড তুলে ধরে তাঁর সরকারের সাফল্য বোঝাতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী
রাজ্যের আর্থিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং কর্মশ্রী প্রকল্পের উপর নির্ভর করেই বেকারত্ব কমানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:৫৮: সম্প্রতি দেশের নীতি আয়োগ ‘সামারি রিপোর্ট ফর দি স্টেট অব ওয়েস্ট বেঙ্গল’ প্রকাশ করেছে। এই রিপোর্টেই কাজের সুযোগ বৃদ্ধি করে বেকারত্ব কমানোর ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের সাফল্য কার্যত মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নীতি আয়োগ। এই রিপোর্টে সাফ বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বার্ষিক বেকারত্বের হার জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেকটাই কম। তাৎপর্যপূর্ণ হল, যে সময়কালে বাংলায় বেকারত্বের হার কমার কথা বলা হচ্ছে, সেই সময় বাংলায় ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে মোদী সরকার। ফলে রাজ্যের আর্থিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং কর্মশ্রী প্রকল্পের উপর নির্ভর করেই বেকারত্ব কমানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে বলছেন, কেন্দ্রের এই রিপোর্ট বিরোধীদের বেকারত্ব ইস্যুকে কার্যত ভোঁতা করে দিল।
সোমবার সেই নীতি আয়োগেরই রিপোর্ট কার্ড তুলে ধরে তাঁর সরকারের সাফল্য বোঝাতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই পরিসংখ্যান বাংলার সমাবেশী ও টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলার প্রমাণ।”
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নীতি আয়োগের প্রতিবেদনে রাজ্যের অন্যান্য সাফল্যগুলিও তুলে ধরা হয়েছে—
যেমন, বাংলায় সাক্ষরতার হার: ৭৬.৩% (২০১১ অনুযায়ী), যা জাতীয় গড় ৭৩%-এর চেয়ে বেশি। শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতি হচ্ছে। স্কুলছুটের হার কমেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার জাতীয় গড়ের তুলনায় বেশি। ২০২০ সালে বাংলায় গড় আয়ু ছিল ৭২.৩ বছর, যা ভারতের গড় আয়ুর চেয়ে বেশি। তা ছাড়া বাংলায় প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯৭৩ জন মহিলা রয়েছে— যা জাতীয় গড় ৮৮৯-এর তুলনায় অনেক উন্নত। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে শিশু মৃত্যুর হার ও মোট প্রজননের হারও জাতীয় গড়ের চেয়ে ভালো। সেই সঙ্গে পানীয় জলের সুবিধা, স্বাস্থ্য ও বাস্তুতন্ত্রে উন্নতির প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে নীতি আয়োগের রিপোর্টে।