খুলছে কলেজ স্ট্রিট কফি হাউস, ফিরছে নস্ট্যালজিয়া
আড্ডাবাজ বন্ধুবান্ধবদের প্রবেশে বাধা না থাকলেও জারি থাকবে একাধিক কঠোর নিষেধাজ্ঞা। আর সেই নিয়মের বেড়াজালে খানিক নিষ্প্রাণ হতেই পারে কফি হাউসের আড্ডা।

আবার ফিরছে কফি হাউসের (Coffee House) আড্ডা। খুলে যাচ্ছে কলেজ স্ট্রিট (College Street) কফি হাউসের দরজা। নিয়মবিধি মেনেই এবার বাঙালির গল্পগুজব, সময় কাটানোর দেওয়ার পালা। তবে এবার সময় বড় কম। দিনভর নয়, স্রেফ তিন ঘন্টা ইনফিউশনের কাপ হাতে নিয়ে বসা যাবে কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসে। আগামী বুধবার থেকেই খুলে যাচ্ছে কফি হাউসের দুয়ার। আড্ডাবাজ বন্ধুবান্ধবদের প্রবেশে বাধা না থাকলেও জারি থাকবে একাধিক কঠোর নিষেধাজ্ঞা। আর সেই নিয়মের বেড়াজালে খানিক নিষ্প্রাণ হতেই পারে কফি হাউসের আড্ডা।
গত বছর, প্রথমবার লকডাউনের পরই কফি হাউসের চেনা চেহারা খানিকটা বদলে গিয়েছিল। শারীরিক দূরত্ববিধি (physical distance) মানতে গিয়ে কমে গিয়েছিল টেবিলের সংখ্যা। কাটছাঁট হয় মেনুতেও। তবুও কফি হাউস ছিল কফি হাউসেই। আজও তাই। তবে এবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত, মাত্র তিন ঘণ্টা খোলা থাকবে কফি হাউস। ইন্ডিয়ান কফি হাউস ওয়ার্কার্স কো-অপারেটিভ লিমিটেডের সেক্রেটারি তপন পাহাড়ি জানিয়েছেন, সরকারি সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে কফি হাউস খোলা হবে মাত্র তিন ঘন্টার জন্য। পরবর্তী ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার যে নির্দেশ দেবে, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।
তপনবাবু বলেন, প্রায় ৬০ জনেরও বেশি কর্মী রয়েছেন কফি হাউসে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় আর্থিকভাবে সমস্যার মুখে এই কর্মীরা। আপাতত তিন ঘন্টা খুলে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে কফি হাউস পুরোপুরি না খুললে এই সমস্যারও পুরোদমে সমাধান হবে না, তা মানছেন তিনি। তবে আগের মতোই কফি হাউসে ঢুকতে গেলে মানতে হবে যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি।
প্রথমবার লকডাউনের পর যখন কফি হাউস ফের চালু হয়, তখন সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত খোলা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে সেইবারও পুরোটা খোলা হয়নি। বন্ধ ছিল ব্যালকনি। কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল টেবিলের সংখ্যা। এমনকী টেবিলে বসার ক্ষেত্রেও চারটি মাত্র চেয়ার রাখা হয়েছিল। কাটছাঁট করা হয়েছিল মেনুতেও। এবার হুবহু একই ব্যবস্থা না হলেও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবেই মানতে হবে সবাইকে। তা হোক, তবু নস্ট্যালজিয়া ফিরছে তো আবার, ফিরছে আড্ডার টেবিলে কফির কড়া গন্ধ। এতেই মন খুশ বাঙালির।