যোগীরাজ্যে ফের সাম্প্রদায়িক বিতর্ক, সংখ্যালঘু হওয়ার ‘অপরাধে’ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত অন্তঃসত্ত্বা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:৫৬: যোগীরাজ্যে ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হলেন এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা।জৌনপুর জেলার সরকারি হাসপাতালে এক মুসলিম মহিলাকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অভিযোগ, মহিলাকে চিকিৎসক স্পষ্টভাবে বলেন, “আমি মুসলিম মহিলার চিকিৎসা করব না।”
ঘটনাটি সামনে আসে একটি ভাইরাল ভিডিওর মাধ্যমে, যেখানে বিড়িবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা শামা পারভিনকে বলতে শোনা যায়, “চিকিৎসক বললেন, আমি মুসলিম মহিলার চিকিৎসা করব না। তোমার ডেলিভারি করাব না। নার্সকেও বলেন, যেন আমাকে অপারেশন থিয়েটারে না নেওয়া হয়। আমাদের পরিবারকে স্পষ্ট বলে দেন, আমাকে যেন অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়।”
ঘটনার সময়, ৩০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ, প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে শামাকে স্থানীয় মহিলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত ছিলেন এক মহিলা চিকিৎসক, যিনি ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে চিকিৎসা করতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সমাজবাদী পার্টির মছলিশশহরের বিধায়ক রাগিণী সোনকর বলেন, “এই ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। রাজ্যজুড়ে যেভাবে সাম্প্রদায়িক বিভাজন ছড়ানো হয়েছে, তারই ফল এটা। কোনও প্রসবযন্ত্রণায় কাতর নারী মিথ্যা অভিযোগ করেন না।”
তবে বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়, যখন ওই ঘটনার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়ানোর অভিযোগে স্থানীয় দুই সাংবাদিক – মায়াঙ্ক শ্রীবাস্তব ও মোহাম্মদ উসমানের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা জোর করে লেবার রুমে ঢুকে ভিডিও রেকর্ড করেন এবং হাসপাতালের ভিতরে ক্ষতি করেন।