২০০২-এর ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় উদ্বেগ! ‘SIR আতঙ্কে’ মেদিনীপুরে মৃত্যু বৃদ্ধের

November 27, 2025 | 2 min read
Published by: Saikat

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৪৫: রাজ্যে ‘এসআইআর আতঙ্কে’ ফের মৃত্যু। এ বার মৃত্যু হল মেদিনীপুরের কেশপুরে ৬৮ বছরের শ্যামল বসুর। পরিবারের দাবি, গত কয়েকদিন ধরে এসআইআর (SIR) নিয়ে প্রবল মানসিক চাপে ছিলেন তিনি। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই খড়গপুর গ্রামীণের তৃণমূল বিধায়ক দীনেন রায় এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন।

শ্যামল বসু কেশপুরের মোহবনি গ্রামের আদিবাসিন্দা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, তিনি মোহবনির বসু পরিবারের সদস্য এবং বহুদিনের তৃণমূল (TMC) কর্মী। তবে বাম আমলে তৃণমূলের রাজনীতায় সক্রিয় থাকার কারণে দীর্ঘ সময় ঘরছাড়া অবস্থায় কাটাতে হয়েছিল তাঁকে।

পরিবারের অভিযোগ, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় শ্যামলবাবুর নাম ছিল না। এই বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি অত্যন্ত চিন্তিত ছিলেন তিনি। তাঁর ছেলে সনৎ বসু বলেন, “২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় বাবা খুব টেনশনে ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াদৌড়িও করেছেন।” তিনি জানান, বুধবার হঠাৎ শরীর খারাপ হলে তড়িঘড়ি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।

তৃণমূল বিধায়ক দীনেন রায় (Dinen Roy) ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “২০০১-০২ সালে কেশপুরে সিপিএমের সন্ত্রাস প্রবল ছিল। বহু পরিবার ঘরছাড়া হয়েছিল, শ্যামলবাবুরাও সেই তালিকায়। ২০০২ সালের এসআইআরে বহু বিরোধী কর্মীর নামই ভোটার তালিকা থেকে বাদ গিয়েছিল। অথচ তার আগের এবং পরের তালিকায় তাঁদের নাম ছিল।” তিনি এটিকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা বলে মন্তব্য করেন এবং পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

কেশপুর ব্লকের তৃণমূল নেতা মহম্মদ রফিক বলেন, “এসআইআর আতঙ্কে মোহবনির বসু পরিবারের একজন সদস্যের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। এর জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী।” পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, কমিশন (Election Commission of India) বাংলায় বিজেপিকে (BJP) সুবিধে করে দেওয়ার মতো কাজ করছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen