পাটনায় তুলকালাম! কংগ্রেস কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর, ‘গুন্ডামি’ বিজেপি কর্মীদের
বিহারের রাজধানীতে কংগ্রেসের সদর কার্যালয় ‘সাদাকত আশ্রমে’র বাইরে বিক্ষোভে সামিল হন বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক। তাদের হাতে লাঠি ছিল বলে অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ০৯:৫৬: কংগ্রেসের ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ নিয়ে কলকাতার পর পাটনাতেও উত্তেজনা ছড়াল। অভিযোগ উঠেছে, বিহারের দ্বারভাঙ্গায় কংগ্রেসের এক কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর প্রয়াত মাকে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়েছিল। সেই ঘটনাকে ঘিরেই শুক্রবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় পাটনায়।
এদিন বিহারের রাজধানীতে কংগ্রেসের সদর কার্যালয় ‘সাদাকত আশ্রমে’র বাইরে বিক্ষোভে সামিল হন বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক। তাদের হাতে লাঠি ছিল বলে অভিযোগ। হঠাৎই তাঁরা গেট ভেঙে কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। শুরু হয় ভাঙচুর, ছোড়া হয় ইট-পাথর। দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক গাড়ির কাচ ভাঙা হয়। কিছুক্ষণ পর কংগ্রেস কর্মীরাও পাল্টা প্রতিরোধে নামেন। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন।
বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন রাজ্যের মন্ত্রী নীতিন নবীন। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর অপমান কোনওভাবেই সহ্য করা হবে না। রাহুল গান্ধী, তাঁর দল ও জোট শরিকদের ক্ষমা চাইতেই হবে।” বিজেপি কার্যালয় থেকে মিছিল করে কর্মী-সমর্থকরা কংগ্রেস দপ্তরে পৌঁছান।
সংঘর্ষ চলাকালীনই ১২০ কিলোমিটার দূরে গোপালগঞ্জে ছিলেন রাহুল গান্ধী। সরাসরি এ বিষয়ে কিছু না বললেও, এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “সত্য ও অহিংসার কোনও বিকল্প নেই। আক্রমণ আর ভাঙচুর চালাও, তবু সত্য ও সংবিধান রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাব। সত্যমেব জয়তে।”
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার দ্বারভাঙ্গায়। সেদিন কংগ্রেসের সভায় এক তরুণ প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর প্রয়াত মাকে নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্য করেন। বছর কুড়ির ওই তরুণ, মহম্মদ রিজভি ওরফে রাজা, সিংওয়ারা এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিতর্কিত মন্তব্যকে কংগ্রেস নেতৃত্বও সমর্থন করেনি। দলের সাধারণ সম্পাদক শচীন পাইলট বলেন, “কেউ গালিগালাজ করলে তা নিন্দনীয়। কিন্তু তার দায় কংগ্রেস বা জোট শরিকদের উপর চাপানো এবং আমাদের দপ্তরে হামলা চালানো ন্যক্কারজনক।”
আরজেডির মুখপাত্র মনোজ ঝাও পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, “আমরা সঙ্গে সঙ্গে ওই ঘটনার নিন্দা করেছি। কিন্তু বিজেপি নেতারা যখন একের পর এক কুমন্তব্য করেন, তখন কি তাঁরা কখনও ক্ষমা চান?”