আটকে পড়া ছেলেকে আনতে স্কুটিতে ১৪০০ কিমি পাড়ি মহিলার
এটাই মাতৃত্বের টান। লকডাউনের কড়া নিয়মের মধ্যেই আটকে পড়া ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে স্কুটিতে ১৪০০ কিলোমিটার সফর করলেন এক স্কুলশিক্ষিকা। অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোরের ঘটনা।নিজামাবাদের বোধানের একটি স্কুলের শিক্ষিকা রাজিয়া বেগম।
এটাই মাতৃত্বের টান। লকডাউনের কড়া নিয়মের মধ্যেই আটকে পড়া ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে স্কুটিতে ১৪০০ কিলোমিটার সফর করলেন এক স্কুলশিক্ষিকা। অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোরের ঘটনা।নিজামাবাদের বোধানের একটি স্কুলের শিক্ষিকা রাজিয়া বেগম।
নেল্লোরে আটকে ছিলেন তাঁর ছেলে নিজামুদ্দিন। ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে নিয়ে হায়দরাবাদের একটি কোচিং অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হয়েছিলেন। নেল্লোর থেকে এক বন্ধুর সঙ্গে তিনি বোধান গিয়েছিলেন। বন্ধুর বাবা অসুস্থ হওয়ায় তাঁরা দুজনেই ১২ মার্চ নেল্লোর যান। কিন্তু তারপরই করোনার কারণে লকডাউন ঘোষিত হওয়ায় বাড়ি ফিরতে পারছিলেন না নিজামুদ্দিন।

তাঁকে ফিরিয়ে আনতে তত্পর হন তাঁর মা রাজিয়া। তিনি এসিপি জয়পাল রেড্ডির দ্বারস্থ হন। এরপর ডিসিপি-র অনুমতি নিয়ে চিঠি জোগার করেন। ৭ এপ্রিল তিনি স্কুটিতে নেল্লোর যাবেন বলে ঠিক করেন। তবু লকডাউনের রাস্তায় স্কুটিতে এতটা পথ যেতে গিয়ে বারবার পড়তে হয়েছে বাধার মুখে। মোড়ে মোড়ে আটকেছে পুলিশ। তাতে হার মানেননি। বরং তীব্র আকুতি নিয়ে সবাইকে বারেবারে বুঝিয়েছেন, ছেলেকে ফিরিয়ে আনাটা তাঁর কাছে কতটা জরুরি।
মায়ের আর্তি ফেলতে পারেননি কেউই। ৮ এপ্রিল ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই বাড়ি ফিরেছেন সাহসিকা মা।