হাথরসে বালিকাকে ধর্ষণ কাণ্ডে দোষীকে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দিল আদালত
অভিযুক্ত যুবককে আজীবন জেল ছাড়াও ১.৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার বাবা, মা ও ভাইকে সাত বছরের জেল এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫.১৫: উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাদের পকসো আদালত মাত্র ২৫ দিনের মাথায় হাথরসে ৮ বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগে ১৯ বছর বয়সি যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে। শুধু তাই নয়, অপরাধ আড়াল করতে সহায়তা করার জন্য দোষীর বাবা, মা এবং বড় ভাইয়েরও ৭ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত।
মামলার সূত্রপাত ঘটেছিল জুন মাসে, হাথরস জেলায় ঘটেছিল নৃশংস এই ঘটনা। স্কুলে গরমের ছুটিতে ছোট্ট মেয়েটি তার দিদার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। বাড়ির সামনে খেলতে খেলতে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। তদন্তে উঠে আসে, পাশের বাড়ির এক তরুণ তাকে দোকান থেকে কিছু আনার নাম করে ডেকে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণের পর হত্যা করে। পরবর্তী সময়ে পুলিশ ওই যুবকের কাছ থেকে শিশুটির গলার হার এবং একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজের অপরাধ মেনে নেয়।
পরে তদন্তে জানা যায়, ঘটনার সময় অভিযুক্তের ২২ বছরের দাদা ভাইকে মৃতদেহ সরিয়ে ফেলতে বলে এবং বাবা-মা বিষয়টি জানলেও পুলিশের কাছে চেপে যান। ফলে আইন ভঙ্গের অভিযোগে তিন জনকেও অভিযুক্ত করে পুলিশ। মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (বর্তমানে বিএনএস) ৬৫-২ ও ৬৬ ধারা এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়। বাকি তিনজনের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু হয়।
এই মামলার তদন্ত মাত্র ৪৪ দিনে শেষ করে পুলিশ। এরপর স্পেশাল পকসো আদালতে উঠলে বিচারক মমতাজ আলি ২৫ দিনের মধ্যে রায় ঘোষণা করেন। অভিযুক্ত যুবককে আজীবন জেল ছাড়াও ১.৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার বাবা, মা ও ভাইকে সাত বছরের জেল এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।