প্রকৃতির রোষে মৃত বেড়ে ২৮, কবে ঘুরে দাঁড়াবে বাঙালির প্রিয় দার্জিলিং, ডুয়ার্স?

October 6, 2025 | 2 min read
Published by: Ritam
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:১২: এমন বিপর্যয় শেষ কবে দেখেছে পাহাড়? মনে করা যাচ্ছে না! প্রকৃতির রুদ্র রূপে বিপর্যস্ত দার্জিলিং, ডুয়ার্স। শনিবার রাতের প্রবল বর্ষণের জেরে ধস, ফুলেফেঁপে ওঠা তিস্তা-তোর্সা-জলঢাকা নদীর জলের তোড়ে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। 

 

বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে রোহিণী, মিরিক, মংপুর রাস্তা, সিকিম-কালিম্পংয়ের লাইফ লাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, দার্জিলিংগামী ১১০ নম্বর জাতীয় সড়কের কমপক্ষে ৫০টির বেশি জায়গা বিধ্বস্ত। তিস্তার জলে তলিয়ে গিয়েছে জাতীয় সড়কের ২৯ মাইল এলাকা। কালিম্পং হয়ে সিকিমগামী আর একটি মহাসড়ক ৭১৭-এ ধস বিধ্বস্ত। শিলিগুড়ি সহ দেশের বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে কালিম্পং ও সিকিমের সড়ক যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন। বানারহাট, গয়েরকাটা ও নাগরাকাটা সহ সংলগ্ন এলাকারও অবস্থা ভয়াবহ। জলবন্দি কয়েক হাজার মানুষ। অসমর্থিত সূত্র মারফত খবর, পাহাড়ে মিরিক ও দার্জিলিং-পুলবাজার ব্লকে অন্তত ২৮ জনের প্রাণ গিয়েছে। সরকারি হিসেবে রাত পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

১২ ঘণ্টায় ২৬৮.৮ মিমি বৃষ্টির জেরে দার্জিলিং, মিরিক, সুখিয়া, পুলবাজার ইত্যাদি এলাকায় বাড়ি চাপা পড়ে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও কিছু ঘরবাড়ি পাহাড়ের খাদে ঝুলছে। শোনা যাচ্ছে, দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ে ধস কবলিত এলাকার সংখ্যা ৫০টিরও বেশি। বালাসন নদীর স্রোতের জেরে মিরিকে ভেঙেছে লোহার ব্রিজ। দুধিয়া হয়ে শিলিগুড়ির সঙ্গে মিরিকের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। যাবতীয় পর্যটনস্থল বন্ধ। নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পাহাড়ে দু’টি ত্রাণ শিবিরে খোলা হয়েছে। কালিম্পংয়েও বৃষ্টি হয়েছে ১৬৬ মিমি।

 

জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। খাবার ও পানীয় জল পৌঁছে দিতে বেগ পেতে হয়েছে উদ্ধারকারী দলের। শিসামারা, তোর্সা, বুড়ি তোর্সা ও হলং নদীর জলে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান ডুবে গিয়েছে। তলিয়ে যাওয়া বন্যপ্রাণদের উদ্ধার করেছে বনদপ্তর। লোকালয়েও একাধিক হিংস্র পশু চলে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। একটাই প্রশ্ন, কবে ঘুরে দাঁড়াবে বাঙালির প্রিয় পাহাড় রানি দার্জিলিং?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen