Delhi Blast Update: আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করল NIA, উপত্যকায় জারি তল্লাশি অভিযান

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:৪৫: গত ১০ অক্টোবর লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ গাড়ি বোমা হামলার ঘটনায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) আরও চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এই নিয়ে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ছয়। ধৃতদের মধ্যে তিন জন চিকিৎসক এবং এক জন ধর্মগুরু রয়েছেন। NIA-র দাবি, এই চার জনই বিস্ফোরণের মূল পরিকল্পনাকারী ও সহায়ক।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ, রাজৌরি, শোপিয়াঁন এবং উত্তরপ্রদেশের কয়েকটি জেলায় একযোগে তল্লাশি চালিয়ে এই চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া তিন চিকিৎসক জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা। ধর্মগুরুকে উত্তরপ্রদেশ থেকে ধরা হয়েছে। তাঁদের নাম এখনও প্রকাশ করেনি NIA।
গত ১০ অক্টোবর সন্ধে ৬:৪৫ নাগাদ লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ঠিক সামনে একটি হুন্ডাই i20 গাড়ি ধীর গতিতে এসে দাঁড়ায়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জন নিহত এবং প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরের দিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মামলার তদন্তভার দেয় NIA-কে।
তদন্তে নেমে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় জম্মু-কাশ্মীরের পাম্পোরের বাসিন্দা আমির রশিদ আলিকে। তাঁর গাড়িটিই বিস্ফোরক ভর্তি করে সুইসাইড বম্বার উমর উন নবির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। উমর বিস্ফোরণের সময় গাড়িতেই ছিলেন এবং তাঁর দেহাবশেষ পরে উদ্ধার হয়।
NIA সূত্রের খবর, ধৃত চিকিৎসক ও ধর্মগুরু এই হামলার জন্য তহবিল সংগ্রহ, লোক নিয়োগ এবং আদর্শগত প্রশিক্ষণে যুক্ত ছিলেন। জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও মাদ্রাসাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সন্ত্রাসের জাল বিছিয়েছিলেন তাঁরা বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।
এই ঘটনার পর থেকে জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে NIA-র তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, জিহাদি সাহিত্য ও নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
দিল্লি পুলিশ ও NIA যৌথভাবে জানিয়েছে, হামলার পেছনে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কের হাত রয়েছে, জারি থাকবে তদন্ত অভিযান।