ফের বাঙালি হেনস্থা! বাংলায় কথা বলায় ‘বাংলাদেশী’ বলে দাগিয়ে দিয়ে দিনহাটার ৭ জনকে আটক করল দিল্লি পুলিশ
এবার বাংলাদেশি সন্দেহে দিল্লিতে আটক করা হল বাংলার আটজনকে। পরে একজনকে ছেড়ে দিলেও বাকি সাতজন এখনও আটক বলে অভিযোগ।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:২৪: কয়েকদিন আগেই রাজস্থান-সহ একাধিক ভিন রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের আটকে রাখা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিবকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে বলেছিলেন। তারপরেই রাজস্থানে আটকে থাকা শতাধিক বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক মুক্তি পায়। মহারাষ্ট্র পুলিশ বাংলার কয়েকজনকে পাকড়াও করে বাংলাদেশেও পুশব্যাক করেছিল। পরে তাঁরা বিএসএফ-বিজিবির ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে বাড়ি ফিরে আসেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গেও ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশি সন্দেহে মালদার ১৯ জন শ্রমিককে ওডিশায় আটক করার অভিযোগ উঠেছিল চলতি সপ্তাহে। অভিযোগ, বুধবার সকালে ওডিশার কটক জেলার পুলিশ ওই শ্রমিকদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তারপরে ওই শ্রমিকদের পরিচয়পত্র ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাঁদের হেনস্থা ও নির্যাতন করা হয়।
এবার বাংলাদেশি সন্দেহে দিল্লিতে আটক করা হল বাংলার আটজনকে। পরে একজনকে ছেড়ে দিলেও বাকি সাতজন এখনও আটক বলে অভিযোগ। তাঁদের সচিত্র আসল পরিচয়পত্র থাকলেও পুলিশ কোনও কথা শুনতে রাজি নয়! তেমনই অভিযোগ উঠেছে। আটক হওয়া সাতজন কোচবিহারের দিনহাটার সাবেক ছিটমহল এলাকার বাসিন্দা। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে। আটক ওই সাতজনের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বেড়েছে দুশ্চিন্তা। পরিবারের সদস্যরা তাঁদের উদ্ধারের জন্য দিনহাটা থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। থানার সামনে নিজেদের পরিচয়পত্র নিয়ে দাঁড়িয়েও থাকেন পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই ভারত-বাংলাদেশের ছিটমহল বিনিময় হয়েছিল চুক্তির মাধ্যমে। পরে ওই এলাকার বাসিন্দারা ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। বৈধ কাগজপত্রও তাঁরা পেয়েছিলেন। ওই এলাকা থেকেই ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন একাধিক ব্যক্তি ও মহিলা। দিল্লিতে কাজ করছিলেন তাঁরা। একটি ইটভাঁটায় কাজ করছিলেন তাঁরা। বাংলায় নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন। বাংলায় কথা বলতে দেখে সন্দেহ হয়েছিল দিল্লি পুলিশের। তিন-চারদিন আগে বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁদের পাকড়াও করা হয় বলে অভিযোগ। সঙ্গে থাকা পরিচয়পত্র দেখালেও পুলিশ তাঁদের কোনও কথা শোনেনি বলে অভিযোগ। তাঁদের কোনও কথাই কানে তোলেনি দিল্লি পুলিশ, বাংলাদেশি বলে দেগে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাংলার ওই শ্রমিকদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।