শীঘ্রই আসছে ডিলিমিটেশন বিল, কবে থেকে শুরু হবে আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:১৯: ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে SIR-র পর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। আগামী বছরের এপ্রিলে শুরু হবে সেন্সাসের প্রথম পর্ব। সেন্সাস রিপোর্টের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়াও আরম্ভ হওয়ার কথা। ডিলিমিটেশন অর্থাৎ লোকসভা ও বিধানসভার আসন পুনর্বিন্যাসের জন্য গঠিত হবে ডিলিমিটেশন কমিশন। যার প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
শোনা যাচ্ছে, সংসদে আগামী বছরই ডিলিমিটেশন বিল আনা হবে। সম্ভবত বাদল অধিবেশনে আনা হতে পারে বিল। ডিলিমিটেশনের মাধ্যমে লোকসভা ও বিধানসভা এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ হবে। আসন সংখ্যাও বাড়বে। প্রাথমিক অনুমান, বাংলায় লোকসভা আসন ৫০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিধানসভা কেন্দ্র বেড়ে তিনশোর বেশি হতে পারে। যদিও রাজ্যসভার আসন সংখ্যা একই রেখে দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিধায়ক সংখ্যার ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয় রাজ্যসভার ইলেক্টোরাল কলেজ। বিধায়ক সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে রাজ্যসভার আসনও বাড়ার কথা। কিন্তু রাজ্যসভার আসন একই রেখে দেওয়া সরকারের একাংশের ইচ্ছা।
উল্লেখ্য, যেহেতু পুনর্বিন্যাসের মূল ভিত্তি জনসংখ্যা, তাই জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা রাজ্যগুলির আখেরে ক্ষতি হবে। প্রতিনিধিত্ব কমবে। ডিলিমিটেশন হলে দক্ষিণ ভারতে লোকসভার আসন কমতে পারে। উত্তর ভারতে বাড়বেই। জনসংখ্যার বৃদ্ধিহারে দক্ষিণ ভারত লাগাম দিয়েছে। কিন্তু তার সুফলের বদলে, ক্ষতি হচ্ছে! তাই দক্ষিণ ভারত ইতিমধ্যেই একজোট হয়ে প্রতিবাদ করছে।
তবে পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপলস অ্যাক্টের (১৯৫০) সংশোধন প্রয়োজন। সংবিধানের ৫৫, ৮১, ৮২, ১৭০, ৩৩০ এবং ৩৩২ নম্বর ধারা অনুযায়ী যা অধিকার দেওয়া রয়েছে, সেগুলি অনুসরণ করতে হবে। ২০২৩ সালে সংসদে পাশ হওয়া মহিলা সংরক্ষণ বিলে উল্লেখিত ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত হবে। ডিলিমিটেশনের অনেক আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যাবে। ১৯৫২ সালে প্রথম ডিলিমিটেশনের পর লোকসভার আসন সংখ্যা হয়েছিল ৪৯৪, ১৯৬২ সালে ৫২২, ১৯৭৩ সালে ৫৪৩। এখনও তাই। এবার ডিলিমিটেশনের পর লোকসভার আসন সংখ্যা অন্তত ৭৫০ হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।