চিনা পণ্যে আচমকা আরও ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০.০০: চিনের পণ্যের উপর আচমকা আরও ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। যা কার্যকর হবে ১ নভেম্বর থেকে। বর্তমানে যে শুল্ক ধার্য করা আছে, নতুন শুল্ক তার উপর চাপাচ্ছে আমেরিকা। ফলে চিনের বিরুদ্ধে আমেরিকার শুল্কের হার এখন ১৪০ শতাংশে পৌঁছবে আগামী মাসের প্রথমদিন থেকে। তবে এই তারিখ এগিয়েও আসতে পারে।
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর চিনের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে একাধিক বার সংঘাত হয়েছে। সাময়িক ভাবে শুল্কযুদ্ধে বিরতি চলছিল। বর্তমানে চিনের উপর মার্কিন শুল্কের পরিমাণ ৩০ শতাংশ। আবার, মার্কিন পণ্যের উপর চিন নেয় ১০ শতাংশ শুল্ক।
চিনের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের বাণিজ্যে রফতানি নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। অভিযোগ, বাণিজ্যিক সঙ্গী সকল দেশকে জিনপিং রফতানি নিয়ন্ত্রণের চিঠি পাঠিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, বিরল খনিজের রফতানি নিয়ন্ত্রণ করতে চলেছে বেজিং। এতেই চটেছেন ট্রাম্প। বিরল খনিজের ভান্ডারে চিন যথেষ্ট সমৃদ্ধ। সারা পৃথিবীতে এই খনিজের চাহিদা প্রচুর। স্মার্টফোন থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ি, যন্ত্রপাতি, সামরিক সরঞ্জাম— বিবিধ ক্ষেত্রে বিরল খনিজ প্রয়োজন হয়। তার রফতানিতে রাশ টানায় ক্ষুব্ধ ট্রাম্প। তিনি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘চিন বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটা অস্বাভাবিক আগ্রাসী নীতি নিয়েছে। সারা বিশ্বে ওরা চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছে, ১ নভেম্বর থেকে বড় মাপের রফতানি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ওরা যা যা পণ্য তৈরি করে, প্রায় সবেতেই রফতানি নিয়ন্ত্রণের নীতি প্রযুক্ত হচ্ছে। এতে সব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কোনও ব্যতিক্রম নেই। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এই ধরনের কথা আগে কখনও শোনা যায়নি।’’
এ মাসের শেষেই দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের বৈঠকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক হওয়ার কথা। শুল্ক নিয়ে নয়া সিদ্ধান্তের পর সেই বৈঠক হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি বৈঠক বাতিল করছেন না। তবে বৈঠকটি শেষ পর্যন্ত হবে কিনা সেটা তাঁর ওপর নির্ভর করছে না। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন তিনি বৈঠকে বসতে প্রস্তুত।