‘দেশে কি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার অধিকার নেই?’ রাষ্ট্রপতিকে চিঠির পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সোনমের স্ত্রী গীতাঞ্জলি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:৪০: বিজ্ঞানী, পরিবেশকর্মী ও সমাজকর্মী তথা লাদাখ আন্দোলনের অন্যতম মুখ সোনম ওয়াংচুকের (Sonam Wangchuk) গ্রেপ্তারিতে হস্তক্ষেপের আবেদন করে এবং সোনমের মুক্তির আর্জি জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখলেন তাঁর স্ত্রী গীতাঞ্জলি আংমো। প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী, লাদাখের উপরাজ্যপাল ও লাদাখ পুলিশের কাছেও একই আর্জি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সোনমের মুক্তির দাবিতে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সোনমেরা স্ত্রী।
লাদাখের ষষ্ঠ তফসিলের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছেন লাদাখবাসী। আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ সোনম। তাঁদের আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ। গত সপ্তাহে হঠাৎ করে তা হিংসাত্মক রূপ হয়। মৃত্যু হয় চারজনের, আহত হন অনেকে। এর পর সোনমকে কাঠগড়ায় তোলে কেন্দ্র। জাতীয় সুরক্ষা আইনে গ্রেপ্তার করে যোধপুরের জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। দুই সপ্তাহ ধরে অনশন চালাচ্ছিলেন সোনম। তাঁর শারীরিক অবস্থা একেবারেই ভাল নয়। তাঁর স্ত্রী গীতাঞ্জলির অভিযোগ, আটক করার পর থেকে সোনমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
অসুস্থ সোনমের কোনও চিকিৎসা হচ্ছে কি-না, সেই সম্পর্কেও কোনও তথ্য নেই তাঁদের কাছে। দেশের সাংবিধানিক প্রধান, রাষ্ট্রপতির (President Of India) কাছে গীতাঞ্জলির প্রশ্ন, দেশে কি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার অধিকার নেই? জলবায়ু রক্ষার কথা বলা অপরাধ? তাঁর কি স্বামীর সঙ্গে কথা বলার অধিকার নেই? আইনি লড়াই লড়ার কোনও অধিকার নেই? রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি করছেন গীতাঞ্জলি।
পাকিস্তান যোগের অভিযোগ খারিজ করে সোনমের স্ত্রী বলেছেন, ‘‘সোনম ওয়াংচুকের সঙ্গে পাক যোগের যে তত্ত্ব ছড়ানো হচ্ছে তা মিথ্যা ও মানহানিকর। রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ওখানে। পরিবেশ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসা করেছিলেন উনি (সোনম)।’’ সেই অনুষ্ঠানের ভিডিও সমাজ মাধ্যমে পোস্টও করেন গীতাঞ্জলি।