টিকিট না মিললেও দলের হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন দিদির সৈনিক সৌমিত্র

গ্রামের বাড়িতে শতাব্দী প্রাচীন দোল উৎসব।

March 30, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

জল্পনা ছিল, এবার শাসকদলের হয়ে ভোট ময়দানে নামবেন তিনিই। তবে শেষপর্যস্ত টিকিট মেলেনি। অবশ্য তাতে কুছ পরোয়া নেই। দলনেত্রীর নির্দেশ মেনে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে ছুটে গিয়েছেন দক্ষিণবঙ্গেও। তবে ভোটের মাঝেই দোল। রং খেলার আনন্দটাও যে মিস করা যাবে না। তাই সব কাজ ফেলে বিশিষ্ট গায়ক সৌমিত্র রায়(Soumitra Roy) এখন হরিশ্চন্দ্রপুরের(Harishchandrapur) গ্রামের বাড়িতে।

গ্রামের বাড়িতে শতাব্দী প্রাচীন দোল উৎসব। সেই উৎসবে যোগ দিতে গ্রামে পা রেখেছেন তিনি। রবিবার ছিল দেবদোল। আর সোমবার মানবদোল। এদিন সকাল থেকেই জমিদার বাড়ির প্রাঙ্গণে কচিকাচাদের সঙ্গে রং খেলায় মাতলেন গায়ক সৌমিত্র রায়। গতবার গাড়ি দূর্ঘটনায় পা ভেঙে ছিল ঠিক দোলের আগেই। একটু সুস্থ হতেই গ্রামের বাড়িতে চলে এসেছিলেন দোল উৎসাবে যোগদান করতে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।

এবার দোল উৎসবের পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনের ঘণ্টাও বেজে গিয়েছে। তাই বাংলার বিভিন্ন এলাকায় শাসকদলের হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। গত শনিবার চাঁচলে ফিরহাদ হাকিমের জনসভায় গিয়েছিলেন। বাংলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থনে ইতিমধ্যেই প্রচার সেরেছেন। সামনে আরও প্রচারের কর্মসূচি রয়েছে। তিনি বলেন, প্রার্থী না হতে পারলেও তিনি দিদির সৈনিক, এবারও বাংলার ক্ষমতায় দিদিই বসবেন।

সৌমিত্রর এহেন খেলোয়াড়সূচক মনোভাব অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল কর্মীদের। কোন পদের আশা না করেই তিনি যে ভাবে লড়ছেন, তাতে তিনি শুধু তাঁর জাতই চেনেননি, শিখিয়েছেন শিষ্টাচার। বনেদি পরিবারের শিক্ষা তাঁর এই মনোভাব থেকে প্রকাশ পায়।

দোলের দিন রং খেলার পরে বাড়ির পাশের তৃণমূল কার্যালয়ে যান গায়ক। সেখানে পার্টির কর্মীদের সঙ্গেও হোলি খেলেন তিনি।

গ্রামের রিম্পা-মামণি-দোয়েল সৌমিত্র রায়ের সঙ্গে রং খেলে খুব খুশি। রঙ খেলা হয়ে গেলে খুদেদের মিষ্টিমুখ করালেন সৌমিত্র। কেউ আবার পচা কাকার গলা জড়িয়ে ধরে গান শোনার আবদার করল। খুদেদের কাছ থেকে আবদার পেয়ে গুনগুনিয়ে উঠলেন ‘পচা কাকা’।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen