পরিযায়ী ক্ষতে প্রলেপের চেষ্টা মোদি সরকারের
২০ লক্ষ কোটির প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা করা সেই ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র শিল্প, নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল সংস্থা-সহ একাধিক খাতে পুনরুজ্জীবন প্যাকেজ ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তার দ্বিতীয় ধাপের প্যাকেজ আজ ঘোষণা করলেন নির্মলা সীতারামন।
২০ লক্ষ কোটির প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা করা সেই ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র শিল্প, নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল সংস্থা-সহ একাধিক খাতে পুনরুজ্জীবন প্যাকেজ ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তার দ্বিতীয় ধাপের প্যাকেজ আজ ঘোষণা করলেন নির্মলা সীতারামন।
সাংবাদিক বৈঠকে প্রথমেই নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, আজ মোট ৯টি পদক্ষেপের ঘোষণা হবে। তার মধ্যে তিনটি প্যাকেজ বা পদক্ষেপ থাকবে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য।
এক নজরে দেখে নিন আজকের ঘোষণাগুলি:

১.৭ লক্ষ কোটি টাকার প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যান যোজনায় উপকৃত হয়েছেন গরীব মানুষ
পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য শেল্টার তৈরি করতে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে ১১০০০ কোটি টাকা দিয়েছে
কৃষি পণ্য সংগ্রহ করতে রাজ্যগুলিকে ৬৭০০ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র
গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নে ৪২০০ কোটি বরাদ্দ হয়েছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর
ইতিমধ্যেই ৪ লক্ষ কোটি টাকার কৃষিঋণ নিয়েছেন ৩ কোটি কৃষক
১২ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী ৩ লক্ষ মাস্ক ও ১ লক্ষ ২০ হাজার লিটার স্যানিটাইজার তৈরি করেছে। ৭ হাজারেরও বেশি নতুন স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে এই করোনা সঙ্কটের সময়ে, তাঁরা সরকারি সাহায্য পেয়েছেন
একশো দিনের কাজে ন্যূনতম মজুরি ১৮২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০২ টাকা করা হল
ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে
করোনা সংক্রমণের এই ক’মাসে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কর্মদিবস বাড়ানো হয়েছে। এর জন্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে
আগামী দু’মাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে পরিযায়ী শ্রমিকদের
বিনামূল্যে রেশন পাবেন ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক। ৩৫০০ টাকা কোটি টাকা খরচ হবে, যা পুরোটাই বহন করবে কেন্দ্র। বাস্তবায়ন করবে রাজ্য সরকার
যে কোনও রেশন কার্ড অন্য রাজ্যেও ধার্য হবে। এক দেশ, এক রেশন কার্ড প্রকল্পে দেশের ৮৩% মানুষ উপকৃত হবেন
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় পরিযায়ী শ্রমিক ও শহুরে গরিব মানুষদের জন্য সরকারি ভাড়ার আবাসন চালু হবে শীঘ্রই
মুদ্রা শিশু ঋণের ক্ষেত্রে ৩ মাসের মোরাটোরিয়াম এর পর সুদের ওপর ২% ছাড় দেওয়া হবে
হকারদের জন্য ৫০০০ কোটি টাকার বিশেষ প্রকল্প চালু হবে এক মাসের মধ্যে। ১৫ লক্ষ হকার এই মাধ্যমে ঋণ নিতে পারবেন
মধ্যবিত্ত (বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্ত) শ্রেণীর মানুষ, যাদের আয় বার্ষিক ৬-১৮ লক্ষ, তাদের গৃহ ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সাবসিডি দেবে কেন্দ্র। প্রকল্পটি মার্চ, ২০২১ অবধি প্রযোজ্য। উপকৃত হবেন ২.৫ লক্ষ মানুষ
আদিবাসী এলাকায় কর্মসংস্থানে জোর দিতে ৬০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করলো কেন্দ্র
NABARD এর মাধ্যমে ৩০,০০০ কোটি টাকা প্রদান করা হবে ক্ষুদ্র চাষিদের, রবি শস্য চাষ পরবর্তী কাজে ও খরিফ শস্য রোপণে সহায়তার লক্ষে
২.৫ কোটি কৃষককে ২ লক্ষ কোটি টাকার কনসেশনাল ঋণ দেওয়া হবে। মৎস্যজীবী ও পশুপালকদের এই প্রকল্পে যোগ করা হবে